আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোগীর থেকে ১৩ ফুট বা চার মিটার দূরের বাতাসেও বেঁচে থাকতে পারে বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস৷ চীনের গবেষকদের এই দাবি শুক্রবার আমেরিকার সেন্টার ফর ফিজিক্স অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর পত্রিকা এমার্জিং ইনফেকশিয়াস ডিজিস-এ প্রকাশিত হয়েছে৷
গবেষণায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সবথেকে বেশি জীবাণু মিলেছে হাসপাতালের ওয়ার্ডের মেঝেতে৷ গবেষকদের মতে, সম্ভবত মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এবং হাওয়ার কারণে অধিকাংশ ভাইরাস ড্রপলেট মেঝেতে পড়ে যায়৷
এর পাশাপাশি কম্পিউটারের মাউস, বেড রোল, দরজার হাতলে সবথেকে বেশি পরিমাণে ভাইরাস পাওয়া গেছে৷
শুধু তাই নয়, আইসিইউ-এর মেডিকেল স্টাফদের পঞ্চাশ শতাংশের জুতার সোলেও করোনাভাইরাসের সন্ধান মিলেছে৷ যা দেখে গবেষকরা বলেছেন, জুতার সোল থেকেও ছড়াতে পারে করোনা৷
এর পাশাপাশি অ্যারোসোল ট্রান্সমিশন থেকেও করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিনের গবেষকরা৷ তাদের দাবি, এই অবস্থায় জীবাণুগুলি এতটাই সূক্ষ্ম হয় তা চোখে দেখা যায় না এবং কয়েক ঘণ্টা হাওয়ায় বেঁচে থাকতে পারে৷
গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যারোসোল বা সূক্ষ্ম আকারে থাকা হাওয়ায় ভাসমান এই জীবাণুর বিন্দুগুলি রোগীদের ১৩ ফুট উপর এবং নিচে পাওয়া গেছে৷
যদিও হাওয়ায় ভাসমান এই জীবাণুর থেকে হাসপাতালের কোনও কর্মী সংক্রমিত হননি৷ এর থেকেই প্রমাণিত হয়, সঠিক সতর্কতা নিলে জীবাণুর উপস্থিতি সত্ত্বেও সংক্রমণ রোখা সম্ভব৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।