আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটসের বিবাহ বিচ্ছেদ আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটলো তাদের ২৭ বছরের সংসার জীবনের। সোমবার ওয়াশিংটনের কিং কাউন্টির এক বিচারক বিচ্ছেদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেন।
বিচ্ছেদের চুক্তি অনুযায়ী সম্পত্তি নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে সম্পত্তি ভাগাভাগির চুক্তির ব্যাপারে কিছু প্রকাশ করা হয় নি। ৬৫ বছর বয়সী বিল গেটস বর্তমানে কমপক্ষে ১৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির মালিক।
বিচ্ছেদের ঘোষণার পরই ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের শেয়ার মেলিন্ডা গেটসের নামে স্থানান্তর করা হয়। এর আগে চলতি বছর মে মাসে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তারা।
এর আগে গত ৩ মে বিল গেটস ও মেলিন্ডা বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন। ওই সময়ই তাঁরা বলেছিলেন, তাঁদের সম্পদ কীভাবে বণ্টন করা হবে, এ নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছেন তাঁরা। কিন্তু গতকাল আদালতের যে আদেশ এসেছে, তা থেকে এ–সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানা যায়নি। এ ছাড়া তাঁদের মধ্যে কী ধরনের চুক্তি হয়েছে, তাও জানা যায়নি।
বিল ও মেলিন্ডার ক্ষেত্রে আদালতও সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। ফলে, এ বিচ্ছেদের মাধ্যমে কীভাবে সম্পদ বণ্টন করা হবে, আর্থিক হিসাবপাতি কীভাবে হবে এবং একে অপরের প্রতি কী ধরনের দায়িত্ব পালন করবেন, সে বিষয়েও আদালত কিছু বলেননি। তবে আদালত এটুকু বলেছেন, বিচ্ছেদের শর্ত অনুসারে তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করবেন। যদিও বিল ও মেলিন্ডা কী কী শর্তের ওপর ভিত্তি করে বিচ্ছিন্ন হচ্ছেন, এ বিষয়গুলো আদালতে উত্থাপন করা হয়নি।
বিল গেটস ও মেলিন্ডার সম্পর্কের শুরুটা ছিল পেশাভিত্তিক। মাইক্রোসফট করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। এর এক যুগ পর ১৯৮৭ সালে প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে মাইক্রোসফটে যোগ দিয়েছিলেন মেলিন্ডা। ওই বছরই প্রতিষ্ঠানের একটি আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা।
প্রেম শুরুর সাত বছর পর ১৯৯৪ সালে বিয়ে করেন এই দম্পতি। কিন্তু গত বছর তাঁরা এ প্রতিষ্ঠান থেকে অবসরে যান, ব্যস্ত হয়ে পড়েন দাতব্যকাজে। এ জন্য ২০০০ সালেই, অর্থাৎ অবসরের আগেই গড়ে তুলেছিলেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে। ফোর্বস সাময়িকীর তথ্যমতে, বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় বিল গেটস চতুর্থ অবস্থানে আছেন। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।