চারদিন ধরে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ায় প্রায় এগারদিন পর কাটলো তাপপ্রবাহ। আবারও তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এপ্রিল মাসজুড়ে চলা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবনে গত দুদিনের বৃষ্টি, কিছুটা হলেও স্বস্তি নিয়ে আসে। বৃষ্টির ফলে কিছুটা ঠাণ্ডা হয় প্রকৃতি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার (৪ মে) সন্ধ্যার দিকে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এ সময় ঢাকায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার। যা অস্থায়ীভাবে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার হতে পারে। তবে আগামীকাল বুধবার তাপমাত্রা ফের বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বর্ধিত পাঁচদিনে আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তনের আভাস দেওয়া হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ বিরাজ করছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে। এ পরিস্থিতিতে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়েছে। ফলে মৌসুমের তাপপ্রবাহ কমেছে।
গতকাল সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর ও খেপুপাড়ায় ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চাঁদপুরে ৪৯ মিলিমিটার। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ সময় ঢাকায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার। যা অস্থায়ীভাবে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার হতে পারে। তবে আগামীকাল বুধবার তাপমাত্রা ফের বাড়তে পারে। আগামী তিনদিন বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
গত মাসের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এপ্রিল মাসে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হলো সারা দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা ৭৯ শতাংশ বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। চলতি মে মাসেও সারা দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা কম বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত বলতে প্রত্যেক বিভাগের জন্যে মাস হিসেবে আলাদা আলাদা পরিমাণকে বোঝানো হয়। যেমন মে মাসের জন্যে রাজশাহীতে ১৯৬ মি.মি., রংপুরে ২৬১ মি.মি., ঢাকায় ২৯২ মি.মি. বরিশালে ২৬০ মি.মি., চট্টগ্রামে ৩১০ মি.মি., খুলনায় ১৭৫ মি.মি., সিলেটে ৫১০ মি.মি., ময়নসিংহে ৩৮০ মি.মি. বৃষ্টিপাতকে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত বোঝানো হয়েছে।
আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আর দেশের উত্তর ও মধ্য অঞ্চলে দুই থেকে তিনদিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি অথবা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ৫ থেকে ৭ দিন বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি ও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। আর মে মাসে দেশের পশ্চিম অঞ্চলে একটি দাবদাহ বয়ে যেতে পারে। যার তাপমাত্রা হতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে বেশি এবং সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি দাবদাহ বয়ে যেতে পারে।
নদনদীর অবস্থায় বলা হয়েছে, মে মাসে উত্তর অঞ্চল ও উত্তর পূর্ব অঞ্চলের কিছু স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষিতে স্বল্প মেয়াদি আকস্মিক বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। কৃষি আবহাওয়ায় বলা হয়েছে, মে মাসে দৈনিক গড় বাষ্পীভবন ৪ দশমিক ২ মি.মি. থেকে ৫ দশমিক ২৫ মি.মি. এবং গড় উজ্জ্বল সূর্যকিরণকাল ৬ দশমিক ৫ থেকে ৭ দশমিক ৫ ঘণ্টার মধ্যে থাকতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।