আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের বৃহত্তম চিরহরিৎ বন আমাজনে আগুনের জন্য দায়ী ব্রিটেনের কয়েকটি বড় ফাস্টফুড কোম্পানি। কোম্পানিগুলো গরুর মাংসের তৈরি বিভিন্ন খাবার বিক্রি করছে। এসব গরুর মাংস ব্রাজিল থেকে আমদানি করা। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের গরুর খামারগুলো খাদ্য হিসেবে সয়াবিনের ওপর নির্ভরশীল।
বিশ্বের বৃহত্তম চিরহরিৎ বন আমাজনে আগুনের জন্য দায়ী ব্রিটেনের কয়েকটি বড় ফাস্টফুড কোম্পানি। কোম্পানিগুলো গরুর মাংসের তৈরি বিভিন্ন খাবার বিক্রি করছে। এসব গরুর মাংস ব্রাজিল থেকে আমদানি করা। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের গরুর খামারগুলো খাদ্য হিসেবে সয়াবিনের ওপর নির্ভরশীল।
এ সয়াবিনের বড় চালানও আসে ব্রাজিল থেকে। এক পরিসংখ্যান মতে, ২০১৮ সালেও ২৪ কোটি ডলারের সয়াবিনের চালান যুক্তরাজ্যে এসেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে আন্দোলনের মধ্যে ব্রিটেনের ফাস্টফুড কোম্পানিগুলোর পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের কথা সামনে এনেছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো।
বিশ্বে গরুর মাংসের সবচেয়ে বড় রফতানিকারক দেশ ব্রাজিল। মার্কিন কৃষি দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বৈশ্বিক রফতানির প্রায় ২০ শতাংশ আসে লাতিন আমেরিকার এই দেশটি থেকে। সামনের বছরগুলোতে এই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
সম্প্রতি ব্রাজিলের আমাজন বনাঞ্চলে যে আগুন জ্বলছে তার বেশিরভাগই লাগাচ্ছে কাঠুরে ও পশুপালকেরা। গবাদি পশুর চারণভূমি পরিষ্কার করতে এসব আগুন লাগানো হচ্ছে। আর এতে উৎসাহ জোগাচ্ছেন দেশটির বাণিজ্যপন্থী প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো।
ব্রাজিলের গরুর মাংস উৎপাদনকারী কৃষকদের কাছে এটা স্বাভাবিক বাণিজ্য হলেও বাকি বিশ্ব এটাকে আতঙ্ক হিসেবে দেখছে।
এমন পরিস্থিতিতে আমাজন বনাঞ্চলে আগুন লাগানোর ঘটনায় ব্রাজিল সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় দেশটি থেকে গরুর মাংস আমদানি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে ইউরোপের কয়েকটি দেশ।
ফিনল্যান্ডের অর্থমন্ত্রী ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ব্রাজিলের গরুর মাংস আমদানি নিষিদ্ধ করার কথা দ্রুত ভাবার আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে ব্রাজিলের এই শিল্প সম্প্রসারণে গত জুনে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি বাতিল করার চিন্তার কথা জানিয়েছে আয়ারল্যান্ড।
বিবিসি জানায়, যুক্তরাজ্যের সব বড় ফাস্টফুড চেইনকে সয়াবিন ব্যবহার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিল পরিবেশবাদী সংস্থা গ্রিনপিস। অন্তত যত দিন না ব্রাজিলের পরিবেশের উন্নতি হচ্ছে।
এ সংস্থার প্রধান রিচার্ড জর্জের মতে, প্রতিটি বড় ফাস্টফুড সংস্থা তাদের পশুদের খাবারের জন্য সয়াবিন ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু তারা কেউই জানে না, এই সয়াবিন কোথা থেকে আসছে। তারা এও জানে না, সারা বিশ্বে অরণ্য ধ্বংসের পেছনে প্রধান কারণ সয়াবিনের চাষ।
পরিবেশকর্মীদের দাবি, ব্রাজিলের আমাজন এবং সেরাডোতে যে আগুন লেগেছে তা ইচ্ছে করেই লাগানো হয়েছে যাতে সেই জমিতে কৃষিকাজ (মূলত সোয়া চাষ) এবং পশুপালন করা যায়।
২০০৬ সালে গ্রিনপিস এবং অন্যান্য পরিবেশ রক্ষক সংস্থার পক্ষ থেকে একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, যেখানে আমাজনে নতুন করে কোনো জমিতে সয়াবিনের চাষ করায় বাধা দেয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে ম্যাক ডোনাল্ডস, টেসকো, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারসসহ প্রায় ২৩টি সংস্থা সেরাডো মেনিফেস্টো সই করেছিল। এই সবের একটাই উদ্দেশ্য ছিল- ভবিষ্যতে বনের ধ্বংস আটকানো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।