জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীতে অ*পরাধপ্রবণতা আগের চেয়ে অনেক গুন বেড়েছে। বিশেষ করে পারিবারিক দ্বন্দ্ব রূপ নিচ্ছে হ*ত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনায়। খু*ন, নারী-শিশু নি*র্যাতনের ঘটনা বাড়ছে দিন দিন। এদিকে অ*পরাধ বিশ্লেষণরা বলছেন নগরায়ন ও প্রযুক্তির প্রভাবে নতুন নতুন অ*পরাধে জড়াচ্ছে মানুষ। আর সব ক্ষেত্রেই মূল্যবোধের অবক্ষয়কে দুষছেন সমাজবিজ্ঞানীরা।
স্কুল ছাত্র শাওন চেষ্টা করেছিল বাঁচতে কিন্তু বেঁচে ফেরা আর সম্ভব হয়নি। ঘা*তকের ধা*রালো অ*স্ত্রের আ*ঘাতে মা শামসুন্নাহার এর সাথে প্রাণ দিতে হয় তাকেও। বাবার একাধিক বিয়ে, সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিরোধ এসব ঘিরেই ঘুরছে কাকরাইলের জোড়া খু*নের রহস্য।
শাওনের রক্ত যখন সিঁড়িতে শুকায়নি তখনি রাজাধানির উত্তর বাড্ডায় নি*র্মমতার শিকার ৯ বছরের নাসরিন। বাবার খু*ন দেখে ফেলায় তাকেও হ*ত্যা করে ঘা*তক।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি অনুযায়ী মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বলি এই বাবা ও মেয়ে। মা আরজিনার পর*কীয়ার সম্পর্কের কারণেই এ জোড়া খু*নের ঘটনা ঘটে। এই খু*নের একদিন পরেই নগরীর কলাবাগানে খু*ন হয় আদিবাসী এক তরুণী।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালের আগস্টে রাজধানীতে খু*ন হয়েছে ২২টি, সেপ্টেম্বর ১৪টি আর অক্টোবরে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬টিতে।
একই সঙ্গে নারী ও শিশু নি*র্যাতনের মামলা ছিল যথাক্রমে আগস্টে ১৮৬ জন, সেপ্টেম্বরে ১৬৭ জন ও অক্টোবর ১৬২ জন।
অপরাধ বিশ্লেষক হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, প*র্নোগ্রাফি, মেয়েদের প্রতি সহিং*সতা, সাইবার ক্রাইম, সামাজিক পরিবর্তন, জীবনযাত্রার পদ্ধতিতে পরিবর্তন, প্রযুক্তির প্রভাব, বিশ্বায়নের প্রভাব স্যাটেলাইট এর প্রভাব, সবকিছু মিলেই পরিবর্তনগুলো এসেছে। আশার কথা শুনানো যাবে কিন্তু বাস্তবতা সহজ না। সব অ*পরাধের বিচার হচ্ছে না। আবার কিছু অপরাধের বিচার তো হচ্ছে। কিছু কিছু অ*পরাধের শাস্তি হচ্ছে কিন্তু অ*পরাধ তো কমছে না।
সমাজ গবেষক অধ্যাপক ড. নেহাল করিম বলেন, আমরা মূল্যবোধের চর্চা করার কোন সুযোগ পাচ্ছিনা। আমাদের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বা বাড়িতে পরিবারের মধ্যে ও মূল্যবোধ চর্চার সুযোগ ছিল না। আইন আছে তার প্রয়োগ নেই। যার কারণে মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। আর এই কারনেই সমাজে অনৈতিক কাজ ও অসামাজিক কাজ গুলো সংঘটিত হয়। আর এ থেকে পরিত্রান পেতে হলে সব জায়গায় মূল্যবোধের চর্চা করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।