জুমবাংলা ডেস্ক : এই আওয়ামী লীগ অনুপ্রবেশকারীর না আসল আওয়ামী লীগ তার জন্য ডিএনএ টেস্ট করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল । তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ নয়, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নয়, মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ না। এই আওয়ামী লীগের ডিএনএ টেস্ট করা দরকার। কারণ আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন দলে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে তাই ডিএনএ টেস্ট করে দেখা দরকার এটা আসল আওয়ামী লীগ কিনা।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে ৭ নভেম্বর জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস উপলক্ষে, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও অবৈধ সরকার বাতিল এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলাল বলেন, ‘আজ আমি যে কথাগুলো বলব একটি কথা ও আমার নিজের না, এসব কথা সরকারি দলের নেতাকর্মীদের।’ তিনি বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী সভায় ওবায়দুল কাদের বলেছেন ক্ষমতা চিরস্থায়ীর জন্য আসে নাই। দয়া করে কেউ ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। এটা কার উদ্দেশ্যে বলেছেন জনগণ তা জানেনা এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আপনারা করে নিবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে ৯ থেকে ১৪ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিলেন বিচারপতি হাবিবুর রহমান বলেছিলেন বাজিকরদের দখলে বাংলাদেশ। চাঁদাবাজি, গ্রেফতার বাজি ধান্দাবাজি, মিথ্যাবাদী এই বাজিগরদের কবলে বাংলাদেশ এ কথা বলেছিলেন। এরপরে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সে সময়ের মন্ত্রীদের বলেছিলেন কচিকাঁচার মেলা। এখন এই কথাগুলো ওবায়দুল কাদের বলছেন।’
যুবদলের সাবেক এই সভাপতি আরো বলেন, ‘এই ধরনের কথা রাশেদ খান মেননের কাছে শুনতে পাই। মশিউর রহমান রাঙ্গার কাছে শুনতে পাই এবং সাবেক মন্ত্রীদের কাছে শুনতে পাই তারা যে কি পরিমান আতঙ্কে আছে তাদের বক্তব্য শুনেই বোঝা যায়।’ লোটাস কামাল দেশের প্রথম ব্যর্থ অর্থমন্ত্রী মন্তব্য করে আলাল বলেন, ‘লোটাস কামাল বর্তমান অর্থমন্ত্রী তিনি দেশের প্রথম ব্যর্থ অর্থমন্ত্রী তিনি বলেছেন যুবলীগের লুটপাট, খুনাখুনি ক্যাসিনো দেশ ধ্বংসের জন্য এ উমুক্ত প্রতিযোগিতা কেন ? এখন এই প্রশ্নটা প্রধানমন্ত্রীকে করলে ভালো হয় আমাদের কে না। এই প্রশ্নটা যদি প্রধানমন্ত্রীকে করতেন তাহলে সবচেয়ে ভালো হতো।’ তিনি বলেন, ‘এই দেশে মাদক, নির্বাচনের ব্যালট বক্স ছিনতাই, সব আওয়ামী লীগের আমলেই শুরু হয়েছে। অন্য কোন সরকারের আমলে নয়। সবকিছুর অগ্রদূত হচ্ছে আওয়ামী লীগ। এরশাদ পতন হয়ে যেত কিন্তু শেখ হাসিনা নির্বাচনে এসে তাকে আট-নয় বছর ক্ষমতায় থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তো দূরে থাক যা কিছু গণতন্ত্রের সাথে যায় না এই সবকিছু করে আওয়ামী লীগ।’
এ সময় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন,বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেরিস্টার মওদুদ আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।