আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলের টোগোগা শহরে বিমান হামলায় অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও ৪৪ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।
বুধবার চিকিৎসা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, আঞ্চলিক রাজধানী মেকেল্লেতে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে।
হর্ন অব আফ্রিকার দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল গেটনেট আদানি এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার কিংবা অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, বিমান হামলা একটি সাধারণ সামরিক কৌশল। তবে বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে না সরকারি বাহিনী।
বোমা হামলায় স্বামী ও সন্তান আহত হওয়ার পর এক নারী বলেন, মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিমান দেখতে পাইনি, কিন্তু শব্দ শুনতে পেয়েছি। যখন বিস্ফোরণ হয়েছে, তখন সবাই পালিয়ে গেছেন। একটা সময় পর আমরা ফিরে এসে আহতদের উদ্ধারের চেষ্টা করেছি।
বহু লোক নিহত হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মার্কেটে বিভিন্ন পরিবারে পূর্ণ ছিল। তবে সেখানে কোনো সশস্ত্র সেনাকে দেখিনি।
এই নারী যা বলেছেন, তা স্বাধীনভাবে যাচাই করে দেখতে পারেনি রয়টার্স। ৪৩ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসা কর্মকর্তারা।
এ নিয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী অ্যাবি আহমেদের মুখপাত্র ও টাইগ্রে সরকারের একটি টাস্ক ফোর্সের প্রধানের সাড়া পাওয়া যায়নি।
উদ্ধারে সহায়তা করা টোগোগা অঞ্চলের কর্মকর্তা ও দুই স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, মেকেল্লে থেকে শহরের দিকের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে ইথিওপিয়ার সেনারা। এতে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতে পারছে না।
ওই কর্মকর্তা বলেন, রোগীরা মারা যাচ্ছেন। পেছনের একটি সড়ক দিয়ে দুটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই এবং তাদের চলে যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না।
স্বাস্থ্যকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে চাইলেও সেনাবাহিনী তল্লাশিচৌকিতে তাদের আটকে দিচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।