জুমবাংলা ডেস্ক: করোনা মহামারির মধ্যেই ইফতার সামগ্রী বিক্রির জন্য ঢাকার বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট (রেস্তোরাঁ) খোলা হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে বাঁচাতে বাড়ির অভ্যন্তরে অবস্থান করছে মানুষ। আর ক্রেতা স্বল্পতার কারণে রেস্টুরেন্টগুলো লাভও করতে পারছে না। খবর ইউএনবি’র।
রাজধানীর প্রতিষ্ঠিত হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো ইফতারি তৈরি করে বিক্রি করতে পারবে বলে সোমবার জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
তবে, কেউ ফুটপাতে কোনো ধরনের ইফতারির পসরা বসিয়ে প্রদর্শন ও বিক্রয় করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান।
ইফতারি বিক্রেতা এবং ক্রেতা সকলকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে উল্লেখ করে ডিএমপি জানায়, তবে কেউ রেস্তোরাঁয় বসে ইফতার গ্রহণ করতে পারবেন না।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশে হোটেল এবং রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মচারীরা বাড়িতে চলে যায়। তবে মালিকরা জনবলের ঘাটতি সত্ত্বেও মঙ্গলবার থেকে হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলি আবার চালু করতে শুরু করেছেন।
বঙ্গবাজার এলাকার ইয়াকুব রেস্তোরাঁর মালিক ইয়াকুব আলী জানান, তার বেশিরভাগ শ্রমিক গ্রামে গেছেন। ‘আমি রমজান মাসে কেবল ইফতার আইটেম বিক্রির জন্য আমার রেস্তোরাঁ খুলেছি। তবে গ্রাহকের সংখ্যা খুব কম,’ তিনি বলেন।
গেন্ডারিয়ার মিল বারাকের অলি বিরিয়ানি হাউজের মালিক আলামিন জানান, রমজানে তিনি বিরিয়ানি, তেহারি ও হালিম বিক্রি করতেন। এই বছর, তিনি কেবল হালিম তৈরি করেছেন। কারণ তার কর্মচারীরা এখনও কাজে যোগ দিতে পারেনি।
শ্রমিক সংকট এবং গ্রাহকদের অনুপস্থিতির কারণে খুব কম রেস্তোরাঁ খোলা দেখা গেছে।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৩ জনে। এছাড়া বুধবার পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ১০৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।