আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খুব অল্প বয়স থেকে আধ্যাত্মিকতার প্রতি আকর্ষণ ছিল। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই সংসার ছেড়ে হিমালয় পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি।
জানা যায়, হিমালয়ের গিয়ে মোদি সাধুর মতো দুই বছর কাটিয়েছিলেন। হিমালয়ের গুয়ায় থাকতেন তিনি।
সেই সময় মোদিকে এক সাধু জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে উনি এখানে কেন এসেছেন। উত্তরে মোদি বলেছিলেন, ঈশ্বরের খোঁজে উনি হিমালয়ে এসেছেন। আর তার উত্তরে সাধু বলেছিলেন, তোমার বয়স কম। তুমি সমাজের ও দেশের সেবা করে ঈশ্বর প্রাপ্তি করতে পারো।
এরপরই ফিরে আসেন তিনি। সন্ন্যাসী হিসাবে কলকাতা বেলুড় মঠেও এসেছিলেন। তার আগে বিয়ে হলেও বৈবাহিক জীবনে আর ফিরে যাননি তিনি।
ছোটবেলা থেকেই মোদী সাধু-সন্তদের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। তাই তার মায়ের মনে হতো তিনি সাধু হয়ে যেতে পারেন। তাই কম বয়সে বিয়েও করিয়ে দিয়েছিলেন তার মা। বাড়ি থেকে সংসার জীবন শুরু করার জন্য মোদির ওপর যখন চাপ দেওয়া হতে থাকে তখন তিনি বাড়ি ছেড়ে হিমালয় চলে যান।
এই তথ্য প্রকাশ্যে আসে ২০১৫ সালে, যখন পশ্চিমবঙ্গে মোদি বেলুড় মঠে আসেন। শোনা যায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় মোদির জ্যাকেটে যে ফুলটি ছিল তা মঠের থেকে প্রসাদরূপে এসেছিল। বেলুড় মঠে তিনি স্বামী আত্মস্থানন্দের সঙ্গে দেখা করেন, যাকে তিনি গুরু হিসেবে মনে করেন। তখনই প্রকাশ্যে আসে অনেক আগে মোদি এই মঠে আসেন সন্ন্যাস গ্রহণের জন্য। কিন্তু তার অনুরোধ মানা হয়নি সে সময়।
শোনা যায়, মোদি ১৬বছর বয়সে স্বামী আত্মস্থানন্দের কাছে দীক্ষা নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।