আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কয়েক সপ্তাহ আগেই টমেটো কিনতে গিয়ে ঘাম ছোটার যোগাড় হয়েছিল মানুষের। সারা ভারতের প্রায় প্রতিটি বাজারে আকাশ ছুঁয়েছিল পাকা টমেটোর দাম। মাত্র এক মাসের ব্যবধানেই সেই দাম একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখন কার্যত পানির দরে বিকোচ্ছে জনপ্রিয় এই সবজি।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন মতে, যে মহারাষ্ট্রে এক মাস আগেও টমেটোর দাম ছিল ২০০ রুপি, সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সেই টমেটোই বিক্রি হয়েছে মাত্র ২ রুপি থেকে সর্বোচ্চ ৫ রুপিতে।
এতে সাধারণ মানুষের স্বস্তি ফিরলেও মাথায় হাত পড়েছে টমেটো চাষীদের। উৎপাদন খরচ তো দূরে থাক, পরিবহন খরচও উঠছে না। আর তাই কষ্ট করে উৎপাদিত টমেটো ফেলে দিচ্ছেন বা নষ্ট করে ফেলছেন কৃষকরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশ কিছু জিনিসের ক্ষেত্রে দামের তফাৎ হয়ে গেলে এমনটা হয়। মূল্যবৃদ্ধি থেকে বাঁচতে অনেক সময় ফলন এতটাই বাড়িয়ে দেয়া হয় যার ফল ভুগতে হয় কৃষকদের। মূল্য পান না তারা।
টমেটোর বেলায়ও তেমনটাই হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে টমেটোর দাম ওঠে কুইন্টাল প্রতি প্রায় ৮ হাজার রুপি। আর বর্তমানে কুইন্টাল প্রতি দাম হয়েছে ২০০-৩০০ রুপি। দাম কমে যাওয়ার কারণ টমেটোর বাম্পার ফলন।
চলতি বছরের জুন মাসেও টমেটোর দাম ছিল ৩০ টাকা প্রতি কেজি। জুলাই মাসেই সেটা বেড়ে হয় ১০০ টাকার ওপর। কোথাও কোথাও তা ২০০ থেকে ৩০০ রুপিতে পৌঁছায়। যা ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। সে সময় টমোটো বিক্রি করে অনেক চাষী রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেছেন, এমন খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
কিন্তু এক মাসের মাথায় এখন মাত্র ২০০ বা ৩০০ রুপিতেই মিলছে এক কুইন্টাল টমেটো। অর্থাৎ ৩ টাকা প্রতি কেজি।
প্রতিবেদন মতে, খুব কম কৃষকই তাদের মাল বিক্রি করতে পারছেন, তাও নাম মাত্র মূল্যে। চাষীরা বলছেন, এতে বিনিয়োগের অর্ধেক টাকাও উঠছে। এক একর জমিতে টমেটো চাষে দরকার হয় অন্তত ২ লাখ রুপি।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মহারাষ্ট্রের পুনেতে এক কেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে মাত্র ৫ রুপিতে। কোলহাপুরে বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৩ রুপিতে। পুনের জুন্নার ও আম্বেদগাওয়ে বিক্রি করতে না পেরে চাষীদের টমেটো ফেলে দিতে দেখা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।