আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৭০ বছরের বিশেষ মর্যাদা হারিয়েছে কাশ্মীর। কাশ্মীরকে এ মর্যাদা দিয়েছিলেন রাজা হরি সিং। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর এ নিয়ে একটি সম্মতিপত্রে তার মতামত জানান। এরপর কাশ্মীর নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সমস্যা সামনে আসতে দেখা গেছে বার বার। তবে, এবার কাশ্মীর ইস্যুতে মোদি সরকারের আমলে যে ঘটনা ঘটল তা সত্যি এক অন্যান্য ইতিহাস হয়ে থাকবে দীর্ঘকাল।
এতোদিন ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা এবং ৩৫ (ক) অনুচ্ছেদ কাশ্মীরিদের কাছে বিশেষ মর্যাদার বিষয় ছিল। এ ধরার ফলে বাইরে থেকে কেউ এসে কাশ্মীরে জমি কিনতে পারত না। তাছাড়া সরকারি চাকরি ও বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারত শুধু কাশ্মীরের স্থানীয় বাসিন্দারাই। কিন্তু এ বিশেষ ধারা বাতিলের ফলে এবার থেকে বিশেষ কোন সুবিধা পাবে না কাশ্মীরবাসীরা।
তাছাড়া এই বিশেষ ধারার কারণে কাশ্মীরের নাগরিকদের বিশেষ আইন ও ছিল। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেও হস্তক্ষেপ করতে পারত না।
এদিকে কাশ্মীরে সাময়িকভাবে সব ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চালাতে দেখা গেছে ভারত সরকারকে। তাছাড়া মুফতি মেহবুবা ও ওমর আবদুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা ছিলেন কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী।
সর্বশেষ কাশ্মীরের থমথমে পরিস্থিতির মধ্যে আবার এক বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এক লোকসভায় বলেন, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের একটি অখণ্ড অংশ। পাকিস্তানের কাশ্মীরের যে অংশ রয়েছে বস্তুত তাও ভারতের।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীর ভারতের একটি অখণ্ড অংশ। আমি এটা পরিষ্কার করতে চাই যে, আমরা সব সময়ই বলে থাকি জম্মু এবং কাশ্মীর যেখানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরও রয়েছে। একই সঙ্গে ভারত চীন সীমান্তের আকসাই চীন ও ভারতের অন্তর্ভুক্ত। এটা নিয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। পুরো জম্মু-কাশ্মীরই ভারতের অখণ্ড অংশ।
অমিত শাহ আরও বলেন, কাশ্মীরের সীমার মধ্যে পাকিস্তানি কাশ্মীরও চলে আসে। এর জন্য আমরা জীবন দিয়ে দেব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।