জুমবাংলা ডেস্ক : ওএমএসের চালে ভাগ বসালেন এক আ.লীগ নেতা। গরীবদের জন্য সরকারের প্রদত্ত ওএমএসের কার্ডে নিজের মেয়ে-স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের নাম তুলেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এমন ঘটনা ঘটে। এছাড়া হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর ইউনিয়নে সরকারি চাল বিতরণে অভিযোগে চেয়ারম্যান ‘মখলিছ মিয়াকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ভিক্ষুক ও ভবঘুরেসহ হতদরিদ্র এবং নিম্নআয়ের মানুষ, যারা কোনো সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অন্তর্ভুক্ত নয়; তাদের জন্য বিশেষ ওএমএস সুবিধা চালু করা হয়েছে। এই সুবিধায় একজন ওএমএস কার্ডধারী প্রতি মাসে ১০ টাকা কেজি দরে ২০ কেজি করে চাল পাবেন। সেজন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা এলাকায় নয় হাজার ৬০০ জনকে দেয়া হচ্ছে ওএমএস কার্ড।
কার্ডের জন্য প্রথম দফায় প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫০০ জনের তালিকা তৈরি করা হয়। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে এ তালিকা করা হয়েছে। প্রথম দফার তালিকা অনুযায়ী ইতোমধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে ২০ কেজি করে চাল পেয়েছেন তারা। তবে তালিকা নিয়ে প্রথম থেকেই সমালোচনা শুরু হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, বিত্তবানদের নামও দেয়া হয়েছে ওএমএস কার্ডের তালিকায়। পৌরসভার মাধ্যমে পাওয়া তালিকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারসহ মোট ৯১ জন সামর্থ্যবানের নাম বাদ দেয়ার জন্য বলেছে জেলা ওএমএস কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহ আলমের পরিবার এবং স্বজনদের নাম উঠেছে ওএমএস কার্ডের তালিকায়। তালিকার ১২ নম্বরে মেয়ে আফরোজা এবং ১৬ নম্বরে রয়েছেন স্ত্রী মমতাজ আলমের নাম। এছাড়া শাহ আলমের তিন ভাই-বোন মো. সেলিম, মো. আলমগীর ও শামসুন্নাহারের নাম রয়েছে ৮, ৯ ও ২৭ নম্বর ক্রমিকে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহ আলম বলেন, আমাকে বলা হয়েছে মহল্লার হতদরিদ্র ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত যারা আছেন তাদের তালিকা করতে। এই তালিকা কাউন্সিলরের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি এবং পৌরসভা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করবে। তাছাড়া আমি কোনো কার্ড বণ্টন করিনি।
তবে ওএমএস কার্ডে বিত্তবানদের নাম তোলার ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকবুল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি সৎপথে রয়েছি। জানামতে কোনো ভুল করিনি।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী বলেন, ওএমএস কার্ডের তালিকায় সামর্থ্যবানদের নাম ওঠার বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। তালিকা যাচাই-বাছাই করে সামর্থ্যবান যাদের পাওয়া যাচ্ছে তাদের বাদ দেয়ার জন্য আমরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি। ইতোমধ্যে ওএমএস কমিটির সভায় ৯১ জন সামর্থ্যবানকে চিহ্নিত করে তাদেরকে তালিকা থেকে বাদ দেয়ার জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।