জুমবাংলা ডেস্ক: নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে রবিবার (২৪ জানুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলার কোম্পানীগঞ্জে হরতাল ডাকা হয়েছে। কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান হরতালের এ ডাক দেন।
এর আগে শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর থেকে উপজেলার বসুরহাট বাজারের বঙ্গবন্ধু চত্বরে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে বহিষ্কার এবং জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবিতে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট চলছে। ওবায়দুল কাদেরের ভাই এবং বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে সেখানে নেতাকর্মীরা এমপি একরামুল করিমের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন।
আবদুল কাদের মির্জা বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, ‘নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে বহিষ্কার এবং জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি ভেঙে দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট চলবে।’
এ সময় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ২৭ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপে বলেন, ‘আমি তো মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলবো না, আমি কথা বলবো ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। একটা রাজাকার ফ্যামিলির লোক এই পর্যায়ে আছেন। তার ভাইকে শাসন করতে পারেন না। এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কথা বলবো। যদি আমার জেলা কমিটি না আসে, তবে এটা নিয়ে কথা বলা শুরু করবো।’
পরে তার ফেসবুক ঘুরে দেখা যায়, তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ ভিডিওটি সরিয়ে নেন। লাইভ দেওয়ার কিছুক্ষণ পর তার আইডি থেকে ভিডিওটি ডিলিট করা হলেও মুহূর্তের মধ্যে এটির ডাউনলোড কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। ইতোমধ্যে একরামুল করিম চৌধুরীর এ বক্তব্যের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পক্ষে বিপক্ষে দেওয়া হচ্ছে নানা পোস্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।