জুমবাংলা ডেস্ক: মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তূচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ব্যাতিক্রমী মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড সাইকো-সোশ্যাল সাপোর্ট সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৩শে ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং এলাকার ৬ নম্বর ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহকারি সচিব ও ৬ নম্বর ক্যাম্পের ইনচার্জ সৈয়দ মাহবুবুল হক।
এই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের হিউম্যানিট্যারিয়ান ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক, একই সংস্থার এইচসিএমপি-এর আওতাধীন হেড অফ শেল্টার (সাইট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস-এসএমএস, জেনারেল ফুড অ্যাসিসট্যান্টস-জিএফএ, অ্যান্ড ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশান-ডিআরআর)- শাহ আলম, একই সংস্থার এইচসিএমপি-এর আওতাধীন চাইল্ড প্রটেকশান কর্মসূচির টিম লিড রিফাত জাহান নাহরীন, ইউনাইটেড নেশন হাইকমিশন ফর রিফিউজির (ইউএনএইচসিআর) সহকারী প্রোগ্রাম অফিসার রুবেল দাশ, একই সংস্থার অ্যাসিসট্যান্ট এমএইচপিএসএস অফিসার এ এন এম মাহমুদুল আলম প্রমূখ।
এতে সূচনা বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের এইচসিএমপি-এর আওতাধীন এমএইচপিএসএসের অফিস ইনচার্জ এইচ. এম রাকিবুল ইসলাম।
সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, বাস্তবতা এই যে বাস্তূচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকরা বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোসামাজিক সহায়তার উদ্দেশ্যে এই সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এ উদ্দেশ্য সঠিকভাবে যেন বাস্তবায়ন হয়, সেদিকে আমাদের বেশি দৃষ্টি দিতে হবে। তবে সেবা প্রদানের পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাদের বিবেচনায় আনতে হবে। এজন্য স্থানীয় কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করা জরুরি।
হাসিনা আখতার হক বলেন, ব্র্যাক বরাবরই নির্যাতিত মানুষের অধিকার ও উন্নয়নে কাজ করে আসছে। বাস্তূচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে এটা আমাদের একটি বড় উদ্যোগ। এই উদ্যোগ যাতে সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়, এজন্য আমরা স্থানীয় কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করার উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
এই কেন্দ্রের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে ফিরে আসা বাস্তুূচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে একক মনোসামাজিক, দলগত ও বিশেষায়িত সেবা দেওয়া হবে। প্রতিদিন এই তিনটি ধাপে সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত প্রায় ৬০ জনকে এই সেবা দেওয়া হবে। কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফে এই ধরণের মোট ১০ টি সেন্টারের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ২ লাখ ২৫ হাজার ৮৬৩ জনকে এই সেবার আওতায় আনা হয়েছে।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাহিদার নিরিখে এই কেন্দ্রটির ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করা হয়। প্রায় দুই মাস নির্মাণ কার্যক্রম শেষে এটি আজ উদ্বোধন করা হলো। ইউনাইটেড নেশন হাইকমিশন ফর রিফিউজি (ইউএনএইচসিআর) এর সহযোগিতায় ব্র্যাক এই কেন্দ্র নির্মাণ ও যাবতীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।