আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের পশ্চিমাঞ্চলে কোয়ারেন্টাইন হিসেবে ব্যবহৃত একটি হোটের ধসে পড়ে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। রোববার কর্তৃপক্ষ বলছেন, এছাড়াও আরও ২৩ ব্যক্তি ধ্বংস্তূপের মধ্যে আটকা পড়েছেন।
সামাজিকমাধ্যমে দেশটির জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানায়, ৪৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৮ জীবিত রয়েছেন।
উপকূলীয় শহর কুয়ানজুর এই ভবনটিকে কোভিড-১৯ রোগীদের বিচ্ছিন্ন করে রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছিল। শহরটিতে ৪৭ ব্যক্তি প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
অনলাইলে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, শিশুদের ফেইস মাস্ক পরতে সহায়তা করছেন উদ্ধারকারীরা। এর আগে ভেঙে পড়া ছয়তলা জিনজিয়া হোটেল থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়েছে তাদের।
১২ বছর বয়সী একটি বালক জানায়, তার মা ধসে পড়ে ভবনের ইট-পাথরের মধ্যে আটকা রয়েছেন। ভিডিওতে তাকে বলতে দেখা গেছে, মা আমার পাশেই ছিলেন।
কয়েক ঘণ্টা পরে তার মাকেও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মাত্র দুই বছর আগে চালু হওয়া ওই হোটেলে অতিথি কক্ষ আছে মোট ৮০টি। ভবনটির প্রথম তলায় সংস্কার কাজ চলার সময় সেটি ধসে পড়ে।
একজন নারী রাতে বলেন, তার বোনসহ কয়েকজন আত্মীয় শিনজিয়া হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। আর তিনি নিজে অন্য একটি হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি তখন কাছের একটি গ্যাস স্টেশনে। হঠাৎ বিকট শব্দে তাকিয়ে দেখেন পুরো হোটেল ভবনটি ধসে পড়ছে।
ওই নারী বলেন, চারদিকে ধুলার মেঘ, বাতাসে কাচের টুকরো ছিটকে যাচ্ছে। আমি এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম যে আমার হাত-পা কাঁপছিল।
ফুজিয়ান ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, ৮৪৮ জন উদ্ধারকর্মী সাতটি প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে ওই হোটেলের ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।