জুমবাংলা ডেস্ক: করোনায় বন্ধ ক্লাস, আবাসিক হল। এর মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে অনার্স-মাস্টার্সের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষা দিতে এলেও আবাসন নিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় হল খোলার বিষয়ের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
করোনার কারণে গেল ১০ মাস ধরে বন্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেশনজট এড়াতে এবার অর্নাস চর্তুথ বর্ষ ও মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা নেয়া শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
জীবাণুনাশক টানেল দিয়ে প্রবেশসহ পরীক্ষার্থীদের মানতে হচ্ছে নানা স্বাস্থ্যবিধি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফারুক আহমদ বলেন, ১টা হলে পরীক্ষা হওয়ার কথা ২০০ জন শিক্ষার্থীর, সেখানে আমরা ৭ টার্মে পরীক্ষা নিচ্ছি। ছাত্রদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। কারো শরীরের তাপমাত্রা যদি বেশি থাকে তাহলে তার জন্য পৃথক পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। পরীক্ষার খাতাগুলো আমরা কয়েকদিন রাখব তারপর সেগুলো শিক্ষকদের কাছে হস্তান্তর করব।
পরীক্ষাকেন্দ্রে শতভাগ উপস্থিতি থাকলেও হল বন্ধ থাকায় আবাসন নিয়ে সঙ্কটে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
এক শিক্ষার্থী বলেন, হলগুলো যদি খোলা থাকত তাহলে আমাদের জন্য বেশি সুবিধা হতো। এই পরিস্থিতিতে থাকার জায়গা খোঁজা এটা আসলে বেশি কষ্টকর হয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে হল খোলার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি উত্তোরণের মধ্য দিয়েই হয়তো আমরা এই সংকট থেকে বেরিয়ে যাব। তখন হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।