জুমবাংলা ডেস্ক : করোনায় মৃত নারীর লাশ ফেলে চলে গেলেন স্বজনরা। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহায়তায় ওই লাশ দাফন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যা হাসপাতালে (করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত) ৩৫ বছর বয়সী ওই নারীর মৃত্যু হয়। তিনি শহরের চাষাঢ়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক গৌতম রায় বলেন, চার দিন আগে ওই নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে মৃত্যু হয়। স্বজনেরা না আসায় স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে হস্তান্তর করলে তারা লাশ দাফন করেন।
এ বিষয়ে ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম বলেন, করোনা আক্রান্ত ওই নারীর মৃত্যু হলে স্বজনেরা তার লাশ ফেলে চলে যান। রোববার বিকেলে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু তারা কেউ লাশ নিতে রাজি হননি। পরে বিষয়টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে জানানো হলে তিনি লাশ বহনের গাড়ি ও কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করেন। আমি স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে হাসপাতাল থেকে লাশ গ্রহণ করে দাফনের জন্য হস্তান্তর করেছি।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে নারায়ণগঞ্জকে চিহ্নিত করেছে আইইডিসিআর। এই পরিস্থিতিতে গত ৮ এপ্রিল থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলাকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে জেলা প্রশাসনের এক কর্মচারীসহ ৫৫ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ ১১ চিকিৎসক, ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১ হাজার ২৮১ জন। আক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১৪ জন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।