চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের একজন ট্রাফিক কনস্টেবল করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রবিবার রাতে চট্টগ্রামে নতুন করে যে রোগী শনাক্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। এই ট্রাফিক পুলিশ সদস্য তাঁদের একজন। তাঁকে রাতেই চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেছেন, ‘যার শরীরে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে তাকে আগে থেকেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘দামপাড়ায় পুলিশ লাইন্স অবস্থিত হলেও আক্রান্ত পুলিশ সদস্য আইসোলেশনে থাকায় এখনো ব্যারাক নিরাপদ আছে বলে আশা করছি।’
একই বিষয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ট্রাফক পুলিশ কনস্টেবল করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর কমিশনার স্যারের নির্দেশে তিনি সম্প্রতি তাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাদের সবার তালিকা করা হয়েছে। পরে পুলিশ হাসপাতালের তিনজন ডাক্তার, তিনজন নার্স, সাতজন মেডিকেল সহকারী, আক্রান্ত কনস্টেবলের রুমে থাকা ১৩ জন এবং ট্রাফিক আরো ২২৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
নগর পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, কয়েকদিন আগে এই পুলিশ সদস্য জ্বর অনুভব করেছিলেন। তখন তিনি পুলিশ হাসপাতালে যান। সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে প্রয়োজনীয় ঔষধ দিয়ে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন। এছাড়া নগর পুলিশ কমিশনারের সর্তকতামূলক কার্যক্রম অংশ হিসেবে নগর পুলিশে কর্মরত বয়স্ক সদস্যদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে নগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে ইতিমধ্যে থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়েছে। জ্বর পরিমাপ করা হচ্ছে নিয়মিত। রুটিন চেকআপে কারো শরীরের তাপমাত্রা বেশি পাওয়া গেলে তাঁকে মনুসরাবাদস্থ দ্বিতীয় পুলিশ লাইন্সে পাঠানো হচ্ছে। সেটি এখনো খালি আছে। তাই দ্বিতীয় পুলিশ লাইন্সকে আইসোলেশনের জন্য নিরাপদ বলে মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে শনাক্ত হওয়া প্রথম করোনা রোগীর বাসা দামপাড়ায়। ওই বাসা থেকে পুলিশ লাইন্স মাত্র কয়েক শ গজ দূরে। তবে রবিবার রাতের সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, দামপাড়ায় আক্রান্ত পিতা-পুত্র দুজনই চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে এবং অনেকটা সুস্থ আছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।