আরিফ জেবতিক : গাজীপুরের এসপি শামসুন্নাহারের একটি বক্তব্য ভাইরাল হচ্ছে। এই সুযোগে একটা কথা বলতে চাই যে করোনা নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে পুলিশের আন্তরিক চেষ্টা আসলেই আমাকে মোহিত করেছে।
আমার প্রথমদিকে ধারণা ছিলো পুলিশের কিছু লোক এই সুযোগে মানুষকে হয়রানি করা শুরু করবে। কিন্তু মাঠে ময়দানে যে খবর পাচ্ছি, তাতে আমরা ধারণা পুলিশ অপ্রত্যাশিত আন্তরিকতায় মহামারি বিস্তার রোধে কাজ করছে। সেদিন সুনামগঞ্জের একটা খবর পেলাম। ওই এলাকার কিছু লোক চট্টগ্রামে কাজ করতো, এই লকডাউনের সময় রাতের আঁধারে মাইক্রোবাস ভাড়া করে বাড়ি চলে এসেছে। যেখানে এসেছে সেটি অত্যন্ত প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল, রাস্তাঘাট নেই। একমাত্র যাতায়াত ব্যবস্থা নৌকা নয়তো ক্ষেতের আল দিয়ে চলা মোটরসাইকেল।
কিন্তু পুলিশ খবর পেয়ে ঠিকই সেখানে গেছে, গিয়ে সবগুলোকে ধমকে হোম কোয়ারেন্টাইনে ঢুকিয়েছে, সেটা পাহারা দেওয়ার জন্য গ্রাম চৌকিদার এবং এলাকাবাসীর কয়েকজনকে দায়িত্ব দিয়ে এসেছে এবং প্রায় রোজই ফোন করে মনিটর করছে। এতোটা আশা করিনি আসলে। আমাদের কয়েকজন স্টাফ এই সুযোগে বাড়ি চলে যেতে চেয়েছিলো। তাদের একাধিক অ্যাডভেঞ্চার পুলিশের কারণে ভেস্তে গেছে। ট্রাকে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রওয়ানা হয়েছে, পুলিশ ট্রাকের ত্রিপল উল্টে তাদের ‘আবিষ্কার’ করে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে।
সিএমপি দেখলাম চট্টগ্রাম থেকে ধান কাটার শ্রমিক হাওড় অঞ্চলে পাঠানোর জন্য নিরাপদ পরিবহনের ব্যবস্থা করছে। চাঁদপুরে ত্রাণচোরদের ধরতে হটলাইন চালু করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে বলতেই হয়, সংকটে মানুষের পরিচয়। পুলিশকে সারাবছর যতোই গালাগালি করি, এই সংকটে তাদের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানাতেই হচ্ছে। ফেসবুক থেকে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।