জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কাজ করছে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এরইমধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে করছে।
করোনা সংকট মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবী টিম, দুস্থ ও খেটে খাওয়া মানুষকে খাদ্যসামগ্রী প্রদান, স্বাস্থ্য বিষয়ক মেডিকেল টিম ইত্যাদি সেবাসহ জরুরি বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো- স্বেচ্ছাসেবী টিম গঠনের মাধ্যমে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্ব স্ব এলাকার অসহায়, দুস্থ, দিনমজুর ও খেটে-খাওয়া মানুষ খাবারের জন্য যোগাযোগ করলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়া।
কৃষিজীবীদের সহায়তায় সারাদেশে কৃষিজীবীদের প্রয়োজনীয়তার নিরিখে আসন্ন বোরো মৌসুমে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ধান কাটাসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মেডিকেল সহায়তায় ছাত্রলীগের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ইউনিটের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ এলাকার জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ স্ব স্ব এলাকার ইউনিটসমূহের অসহায়দের সহযোগিতামূলক ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সমন্বয় করবে। প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যসামগ্রী প্রদানের ক্ষেত্রে কেউ যেন কোন অনিয়ম না করতে পারে সেদিকে সর্তক ও সজাগ দৃষ্টি রাখবে নেতাকর্মীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক সরবরাহকৃত পোস্টারে স্ব স্ব ইউনিটের ১০জন স্বেচ্ছাসেবক ও ১০ জন মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে ‘স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তা টিম’ এর মুঠোফোন নম্বর সংযোজন করে প্রচার করবে এবং সাহায্যপ্রার্থী কেউ যোগাযোগ করলে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ছাত্রলীগের প্রতিটি জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌর ইউনিটসহ সংশ্লিষ্টদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উক্ত কর্মসূচি ও সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হলো।
ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, যেসব সিদ্ধান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে সেসব কার্যক্রমের অধিকাংশই চলমান। তবে গ্রাম পর্যায়ে খেটে খাওয়া কৃষক প্রয়োজনে তাদের জমি থেকে ধান কাটার লোক পাচ্ছে না তাই আমাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে তারা কৃষকদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। কোনো দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ যাতে না খেয়ে থাকে তার জন্য তাদের প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় তাদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের অনেক অঞ্চলে এসমস্ত হীন ঘটনা ঘটছে। তাই আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের এই নির্দেশনা দিয়েছি যাতে ত্রাণ বিতরণে কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়। পাশাপাশি যদি কোনো এলাকায় এই ত্রাণ সহায়তা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা কোনো গড়মিল করে বা অন্য কোনো অনিয়ম করে তাহলে আমাদের কর্মীরা স্থানীয় প্রশাসনকে তা জানাবে। সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।