জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশালে নদীবেষ্টিত উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা মহাবিদ্যালয়’ জাতীয়করণ ঘোষণা হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
কলেজের চারজন প্রভাষক অভিযোগ করেছেন, জাতীয়করণ হওয়ার পর তাদের বাদ দিয়ে পেছনের তারিখ দেখিয়ে নতুন নিয়োগের চক্রান্ত করছেন মো. অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ বলেছেন, তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন ওই প্রভাষকরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। কলেজটি নন-এমপিও হওয়ায় এতদিন তারা বেতন-ভাতা পাননি। ফলে তাদের অন্যত্র চাকরি করার বিষয়টি কলেজে থেকে খোঁজখবর নেয়া হয়নি। জাতীয়করণ হওয়ায় ওই শিক্ষকরা অন্যত্র চাকরি করায় তাদের কলেজের চাকরি নিয়ে কিছুটা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, মহেন্দিগঞ্জের চরাঞ্চল গাগুরিয়ায় ২০১৫ সালে ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা মহাবিদ্যালয়’ স্থাপিত হয়। একই বছর নিয়োগ বিধি মেনে ১৯ জন প্রভাষক নিয়োগ দেয় তৎকালীন নিয়োগ বোর্ড। তার মধ্যে ৫ জন যোগদান না করায় ১৪ জন প্রভাষক কলেজে কর্মরত আছেন। এতদিন কলেজটি নন-এপিওভাবে পরিচালিত হচ্ছে। গত বছর বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নামে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠনগুলো জাতীয়করণ করা হবে। এতে ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা মহাবিদ্যালয়ও ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয়করণের তালিকাভুক্ত হয়েছে।
কলেজের প্রভাষক জীববিজ্ঞান বিভাগের মাকসুদুর রহমান, রসায়নের শামীমা মুকুল, গণিতের মো. মনিরুজ্জামান ও কৃষি বিভাগের নুসরত জাহান অভিযোগ করেছেন, জাতীয়করণ হওয়ার পর তাদেরকে বাদ দিয়ে পেছনের তারিখ রেজুলেশন করে নতুন চারজনে নিয়োগ দেখানোর পাঁয়তারা করছেন বর্তমান অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নতুন চারজনকে নিয়োগ দেয়া হবে বলে চার প্রভাষকের দাবি।
এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হলে রোববার বিকালে বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন বলেন, কাউকে বাদ বা নতুন নিয়োগ দেয়ার সুযোগ নেই। এ কলেজটি চরের বাতিঘর। এটি জাতীয়করণ হচ্ছে, এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে স্থানীয় একটি পক্ষ নানা গুজব ছড়াচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।