লাইফস্টাইল ডেস্ক : কানে কোনো সমস্যা বা অস্বস্তি না থাকলেও অনেকে অকারণেই কটন বাড দিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বেশ আরামদায়ক হলেও, যেকোনো সময় ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কটন বাড কানের ক্ষতি করতে পারে। এমনকি কটন বাড নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষার প্রতিবেদনেও রীতিমতো চমকে ওঠার মতো তথ্য উঠে এসেছে।
নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষ আসলে দাম দিয়ে ক্ষণিকের আরামের জন্য যে বাডস কিনছেন, তা আসলে কানের পর্দার ক্ষতির অন্যতম কারণ। আবার কটন বাডের তুলা কানে ঢুকে গিয়ে নানা দুর্ঘটনারও ঘটতে পারে। এ ছাড়া কানে এই খোঁচাখুঁচির কারণে কানের অভ্যন্তরে স্থায়ী ক্ষতি হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, কটন বাড ব্যবহার করে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রতিবছর বিশ্বে মারা যান প্রায় সাত হাজার মানুষ। বিপুল জনসংখ্যার তুলনায় এ সংখ্যা নগণ্য হলেও কখন, কে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তা বলা যায় না। অনেক সময়ই অস্ত্রোপচারের সাহায্য নিতে হয় এমন বিপদে।
শুধু তা-ই নয়, কটন বাডসের খোঁচানো প্রতিদিন কানের অডিটরি লোবকে উত্তেজিত করে তার অভ্যন্তরীণ ক্ষতি হয়। এতে করে শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে থাকে।
এবার আপনার মনে একটা প্রশ্ন উঁকি দিতে পারে, তাহলে কি আমরা কান পরিষ্কার করব না? বিশেষজ্ঞদের মতে উত্তরটি হচ্ছে, ‘না’। আলাদা করে কান পরিষ্কার করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কানের অভ্যন্তরে যে ময়লা থাকে, তা আসলে কানের ভিতরের পর্দাকে রক্ষা করে। খুব জোরে আওয়াজ, খুব জোরে ফুঁ দেওয়ার ফলে ক্ষতি বা বাইরের আঘাত থেকে কানের পর্দাকে রক্ষা করে এই ময়লাগুলো।
এ ছাড়া কানের ভেতরের আঠালো পদার্থ আমাদের কানের জন্য ভালো।এসব পদার্থ কানের পর্দাকে বাইরের সংক্রমণ ও ধুলোবালি থেকে রক্ষা করে। ময়লা বেশি জমে যাওয়ার ধারণা ভুল। আর যেটুকু ময়লা অতিরিক্ত, তা হাঁচি-কাশি-গোসল-ঘুম ইত্যাদি নানা জৈবিক কাজের মধ্য দিয়েই বেরিয়ে যায়। আলাদা করে খুঁচিয়ে বার করতে হয় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।