নিজেস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ঠান্ডা সর্দি জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে এক যুবক মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুবরণ করেছে। ২৮ বছর বয়সী ওই যুবক কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের উলুসারা গ্রামের বাসিন্দা। সে নারায়ণগঞ্জে একটি ফার্মেসীতে কাজ করত।
কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আব্দুস সালাম সরকার জানান, ওই যুবক নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতো। দুই সপ্তাহ আগে সে বাড়িতে আসে। জ্বর সর্দি কাশি ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে সে বাড়িতে ছিল। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তার শ্বাসকষ্ট ছিল না। যদি শ্বাসকষ্ট থাকত তাহলে সে তো হাসপাতালেই আসতো। যেহেতু তার বয়স কম, তাই আমরা মনে করছি তার করোনা হয়ে থাকতে পারে। এজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে লোক পাঠানো হয়েছে মৃত যুবক ও তার বাবা মা, ভাই বোনসহ পরিবারের সকলের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য। তার পরিবার সকলে হোম কোয়ারান্টিনে থাকবে, অনেকটা লকডাউন এর মত। লকডাউন করা হবে কিনা সে ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
তিনি আরো জানান, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ওই যুবকের দাফন করোনা আক্রান্ত রোগীর মতোই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী করা হবে। এজন্য স্বেচ্ছাসেবীদের কে-পিপিই ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পর আমি কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে উপজেলা কমিটির সাথে আলাপ করে ওই বাড়িটি লক ডাউনের নির্দেশ দিয়েছি।
করোনার উপসর্গ নিয়ে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। তাদের দাবী, করোনার বিস্তার শুধু যুবকের বাড়ী নয়, আশপাশের এলাকা লক ডাউন করা হোক।
কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান বলেন, ছেলেটি কাপাসিয়া আসার আগেই অসুস্থ ছিলো। বাইরে থেকে এলাকায় এসে অনাকাংখিত ঝুকি তৈরী করেছে। একারণে তিনি এলাকায় নতুন করে কাউকে না আসার অনুরোধ করেন। যদি কেউ আসেও তাহলে যেন সরকারি নির্দেশ মেনে সেলফ কোয়ারেন্টিন মেনে চলে। তিনি মৃত যুবকের গ্রামটি লক ডাউনের অনুরোধ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।