কলকাতা বিমানবন্দরে দুজন প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মী নারীকে তল্লাশির নামে হয়রানির অভিযোগ ওঠায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বিমান সংস্থাটির কর্তৃপক্ষ। পোলিওর কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়া কুহু দাস জানান, তাকে বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় তার ক্যালিপার বা কাঠের পা খুলে স্ক্যানার মেশিনে দিতে বলা হয়। তিনি বিমানবন্দরের একজন মহিলা নিরাপত্তাকর্মীকে বলেন, তার পক্ষে ট্রাউজার না খুলে ক্যালিপার খোলা সম্ভব নয়। কিন্তু তার পরও তাকে তা করতে বলা হয়।
জিজা ঘোষ নামে আরেক জন অধিকারকর্মী সেরেব্রাল পলসিতে আক্রান্ত। তাকে বলা হয় যে তিনি একজন সঙ্গী ছাড়া বিমানভ্রমণ করতে পারবেন না। প্রতিবন্ধী নারীদের অধিকার সংক্রান্ত একটি সভায় যোগ দিতে তারা দিল্লি যাচ্ছিলেন। নিরাপত্তা কর্মীদের আচরণের প্রতিবাদ করার পর তাদের দু’জনকে যেতে দেয়া হয়, তবে তারা জানান, তারা ‘অপমান এবং বিদ্রূপের শিকার হয়েছেন’। কুহু বলেন, তিন বছর বয়সে তার পোলিও হয় এবং বহু বছর ধরেই তিনি টিটানিয়াম রড দিয়ে তৈরি ক্যালিপার ব্যবহার করছেন। এর আগে ভারতের বাইরে কোনো বিমানবন্দরে তাকে এমন অবস্থায় পড়তে হয়নি।
তিনি বলেন, প্রতিবার ক্যালিপার খুলতে বলাটা কোনমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ এর অর্থ হচ্ছে আমাকে ট্রাউজার খুলতে বলা। কুহু আরও বলেন, ‘জিজা একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী যে নিজে নিজে পৃথিবীর নানা জায়গায় গেছে। সে অত্যন্ত অপমানিত বোধ করেছে। আমরা একে বৈষম্যমূলক বলে প্রতিবাদ করার পর চেকইন কাউন্টারের লোকটি দুঃখপ্রকাশ করেন। কিন্তু আমি তার ওপর রাগ করছি না। একটি বিমানসংস্থা প্রতিবন্ধীদের সাথে কী আচরণ করছে সেটাই আসল ব্যাপার।’ এ ঘটনার খবর ভারতের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক টুইটার বার্তায় দুঃখ প্রকাশ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।