জুমবাংলা ডেস্ক : নিহতের প্রায় আড়াই মাস পর সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের আশাপুর এলাকার কবর স্থান থেকে থেকে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য জুলেখা আক্তার শিখার মরদেহ উত্তোলন করা হচ্ছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও স্বজনরা জানায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের আশাপুর এলাকার জসিম উদ্দিনের একমাত্র মেয়ে জুলেখা আক্তার শিখার সঙ্গে দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী ঢাকার ধামরাই থানার যাদবপুর এলাকার আতাউর মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসানের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে মেয়ের বাবার বাড়ির জমি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ-বিবাদ হত। স্বামী মেহেদী বিভিন্ন সময় স্ত্রী শিখাকে মারধরও করতো। এবছরের ১১ সেপ্টম্বর শশুর বাড়ি থেকে শিখার লাশ উদ্ধার করে ধামরাই থানা পুলিশ।
ওইদিন শিখার বাবা জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে স্বামী মেহেদী, শশুর আতাউরসহ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ আশাপুর-বেনুপুর সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জসীমউদ্দীন নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ৯ নভেম্বর একটি আদেশ প্রদান করেন। ওই আদেশে গাজীপুরের একজন বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে শিখার লাশটি উত্তোলন করে ফের ময়নাতদন্তে প্রেরণের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করায় রবিবার সকালে উপজেলার আশাপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, ময়নাতদন্তে পরিবার সন্তুষ্ট না, তাই পুনরায় ময়নাদন্ত করার জন্য লাশটি উঠানো হয়েছে।
গাজীপুর বিজ্ঞ আদালত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটে মো. ইকবাল হোসেন জানান, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে পুনরায় লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।