নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিলুপ্ত কমিটির নেতাকর্মীরা।
আজ রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন ডেভিট। এতে বক্তব্য দেন সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মনা, বিভাগীয় উপ-বিষয়ক সম্পাদক দীপক চন্দ্র রায় ও পুটিমারী ইউনিয়ন সভাপতি ফিরোজ কবির।
এতে উল্লেখ করা হয়, ৭ ডিসেম্বর মধ্যরাতে উপজেলা ছাত্রলীগে মাইনুল ইসলাম সপুকে সভাপতি ও মেহেদী হাসান জেবিকে সাধারণ সম্পাদক করে যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে সেটি সঠিক হয়নি।
সভাপতি হিসেবে যাকে ঘোষণা করা হয়েছে তিনি উপজেলা বিএনপি’র প্রচার সম্পাদকের ভাই এবং সাধারণ সম্পাদক যাকে করা হয়েছে তিনি বড়ভিটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর হিসেবে ছিলেন।
ছাত্রলীগের প্রকৃত কর্মীরা এখানে স্থান পাননি বরং রাতের আঁধারে কেন কমিটি প্রকাশ করা হলো এটি তদন্তে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চান তারা।
সভাপতির বক্তব্যে ফারুক হোসেন ডেভিট বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই কমিটি প্রত্যাহার করা না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। যতক্ষণ প্রত্যাহার করা না হবে ততক্ষণ কর্মসূচি চলবে আমাদের।
জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার মাসুদ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতার নির্দেশক্রমে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের প্রত্যয়নের ভিত্তিতে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে সদ্য নির্বাচিত সভাপতি মাইনুল আরেফিন সপু জানান, আমি এবং আমার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার বিরুদ্ধে যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। নীলফামারী সরকারী কলেজে মাস্টার্সে অধ্যয়ন করছেন বলে জানান তিনি।
তবে সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান জেবি বলেন, আমি বড়ভিটা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলাম। আমার ফুফা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ায় ইউনিয়ন কাউন্সিলে ডেলিগেট কাউন্সিলর হিসেবে আমাকে মনোনীত করা হয়। এতে দোষের কিছু নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।