কুসুম গরম পানি নিয়ম করে পানি পান করতে হবে। দিনে ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত। তবে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী এ পরিমাণ কমবেশি হতে পারে। সেই সঙ্গে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান, কমলালেবু, লেবু, আমলকী, পেয়ারা ইত্যাদি খাওয়া উচিত। এতে শীতকাল আনন্দদায়ক হবে, শীত উপভোগ করতে পারবেন।
কুসুম গরম পানি পানে যেসব উপকার পাবেন
• দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: শীতকালে শরীরকে গরম রাখতে এবং গ্রীষ্মকালে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে কুসুম গরম পানি সাহায্য করে। এটি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
• হজমশক্তি বাড়ায়: শীতে হজমশক্তি কমতে থাকে, পেটের অগ্নি কমে যায় তাই কুসুম গরম পানি পান করলে হজমপ্রক্রিয়া সহজ হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। এটি খাবার হজমে সাহায্য করে এবং পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
• বিষাক্ত পদার্থ বের করে: কুসুম গরম পানি পান করলে শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। কিডনি ও লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
• রক্ত পরিষ্কার করে: কুসুম গরম পানি রক্ত পরিষ্কার করে এবং রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। এটি ত্বকের জন্যও উপকারী, ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে।
• ওজন কমাতে সাহায্য করে: কুসুম গরম পানি পান করলে মেটাবলিজম বাড়ে এবং ক্যালরি বার্ন হয়। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
• শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে: শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে কুসুম গরম পানি খুবই উপকারী। এটি শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করে।
• দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখে: শীতে দাঁতের সমস্যা বাড়ে, তাই কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলি করলে দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
• মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে: শীতে মাথাব্যথা বাড়ে, নাক বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় কুসুম গরম পানি পান করলে উপকার পাবেন।
• গলাব্যথা কমায়: শীতে গলাব্যথা একটি সাধারণ বিষয়। এ সময় কুসুম গরম পানি পান করা ও গরম পানিতে অল্প লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে গলাব্যথা থাকবেই না। বিশেষ করে গার্গল করার সময় দেখা যাবে মুখ দিয়ে ঘন লালা বের হবে, যত লালা বের করতে পারবেন তত দ্রুত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।