জুমবাংলা ডেস্ক: বন্যার পানি নেমে গেলেও কুড়িগ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার এখনও খোলা আকাশের নিচে বাস করছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে কাজ না থাকায় এসব পরিবারের লোকজন অর্থনৈতিক কারণে বাড়িঘর মেরামত করতে না পেরে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। খবর ইউএনবি’র।
চলতি বছরের বন্যা ও নদী ভাঙনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা শহর থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন রৌমারী ও চর রাজিবপুর উপজেলায়। চর রাজিবপুরের মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরপাড়া, জিগাপাড়া, চর নেওয়াজি, নয়ারচর, পাটাদহ পাড়া, চর ইহাটি, নাওশালা ও বড়বেড়চরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ বাড়িঘর হারিয়ে এখনও খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মানুষজন জানান, বন্যার ফলে বেশ কিছু বাড়িঘর ভেঙে গেছে। টাকার অভাবে অনেকেই তা মেরামত করতে পারছেন না। কেউ কেউ অধিক সুদে টাকা ধার নিয়ে বাড়ির কাজ করছেন।
মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন জানান, এ ইউনিয়নে কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য কয়েকটি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণে সরকারি সহায়তার দাবি জানান এ জনপ্রতিনিধি।
এছাড়া গৃহহীনদের সাহায্যে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত উল্লেখ করে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আকবর হোসেন হিরো আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে অসহায় মানুষের পুনর্বাসনে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।