স্পোর্টস ডেস্ক : দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আর্জেন্টিনাকে কোপা আমেরিকা জেতানোর নায়ক লিওনেল মেসি আছেন সবচেয়ে এগিয়ে। দৌঁড়ে আছেন ইতালির হয়ে ইউরো আর চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী মিডফিল্ডার জর্জিনহো।
লিওনেল মেসির শোকেসে ব্যালন ডি অর ট্রফি আছে সবচেয়ে বেশি ৬টা। নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়ে একটা বেশি। তবে এ বছর ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে মেসির। ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে মৌসুমটা মনমতো হয়নি। কোপা দেল রে ছাড়া কিছুই জিততে পারেননি। লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে আবারও পিচিচি ট্রফি জিতেছেন ঠিকই। তবে যে আন্তর্জাতিক ফুটবলে এতো আক্ষেপ, বাজিমাত করেছেন সেখানেই।
১৯৯৩ এর পর ২০২১। মাঝের প্রায় তিন দশকের ট্রফির হাহাকার কেটেছে আর্জেন্টাইনদের। আলবিসেলেস্তেদের নতুন করে শিরোপার স্বাদ পাইয়ে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। পাশাপাশি নিজেও পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক মেজর ট্রফি। ৪ গোল আর ৫ অ্যাসিস্টে এবারের কোপা আমেরিকায় দলের ১২ গোলের ৯টিতে অবদান রাখা মেসি, একইসঙ্গে জিতেছেন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার গোল্ডেন বুট আর সেরা খেলোয়াড়ের গোল্ডেন বল অ্যাওয়ার্ড। এ অর্জনই এলএমটেনকে এগিয়ে রাখছে ব্যালন ডি অর জয়ের রেইসে।
চেলসির ইতালিয়ান মিডফিল্ডার জর্জিনহোর দাবিও কি কম! এবছর ডাবল ইউরোপিয়ান ট্রফি তার ঝুলিতে। ক্লাব চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পর ইতালির হয়ে ইউরো কাপ জয়। ব্লু আর আজ্জুরিদের হয়ে এই সাফল্যে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে এই মিডফিল্ডার নিজেও।
ইতালি ফুটবল দলের মিডফিল্ডার জর্জিনহো বলেন, আমি নিজেকে কিভাবে মেসি, রোনালদো, নেইমারের সঙ্গে তুলনা করি? তারা অন্যরকম খেলোয়াড়। কৌশলের মানদণ্ডে আমি বিশ্বের সেরা ফুটবলার নই। কিন্তু, ট্রফির হিসেবে এবার আমার চেয়ে বেশি তো কেউ জেতেনি।
ইউরো জিততে পারলে জোর গলায় একই দাবি তুলতে পারতেন হ্যারি কেইন। ওয়েম্বলির ফাইনালে ইতালির কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ইংল্যান্ডের। আসরে ৪ গোল করলেও শূন্য হাতে ফেরায় ব্যালন ডি’অরের রেইসে খানিকটা পিছিয়ে গেছেন টটেনহ্যামের ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
ব্যর্থ এক ইউরো সত্ত্বেও তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলা যাচ্ছে না রবার্ট লেওয়ানডস্কির নাম। বুন্দেস লিগার চ্যাম্পিয়ন ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ২৯ ম্যাচে রেকর্ড ৪১ গোল পোলিশ ফরোয়ার্ডকে রেখেছে আলোচনায়।
আলোচনায় রাখতে হচ্ছে ইউরোতে ইতালির রক্ষণে দুর্ভেদ্য প্রাচীর তুলে রাখা কিয়েল্লিনিকেও। আরেক ডিফেন্ডার বোনুচ্চি আর গোলরক্ষক ডনারুমাকে সঙ্গী করে আজ্জুরিদের ইউরো জয়ে বড় অবদান রেখেছেন ইন্টার মিলানের হয়ে সিরি আ’র শিরোপা জয়ী এই ফুটবলার। ২০০৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ী ইতালি দলের সদস্য ফাবিও ক্যানেভারোর পর আর কোনো ডিফেন্ডারের হাতে ওঠেনি ব্যালন ডি’অর ট্রফি। তাই কিয়েল্লিনি জিতলে নতুন ইতিহাসই রচনা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।