কর্মই সফলতার মূল। বলা হয়ে থাকে, পৃথিবী কর্মক্ষেত্র এবং পরকাল ফল উপভোগের জায়গা। পৃথিবীতে কাজ করে যাওয়াই মুমিনের কর্তব্য। এখানে অলস লোকের স্থান নেই। কর্মীর ললাটে সৌভাগ্য এবং অলস লোকের ললাটে দুর্ভাগ্য নিহিত।
মানবজীবন সম্বন্ধে কোরআন বলছে, ‘আল্লাহ জন্ম ও মৃত্যু এ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন যেন। তিনি পরীক্ষা করে দেখবেন, তোমাদের মধ্যে কর্মে কে শ্রেষ্ঠ।’ কর্মের জন্যই জন্ম এবং কর্মফল ভোগের জন্যই মৃত্য। কর্ম ব্যতীত কোনো ফল পাওয়া যাবে না।
কোরআন বলা হয়েছে, ‘পরিশ্রম ব্যতীত মানব কিছুই অর্জন করে না।’পরিশ্রম ও অধ্যবসায় সফলতার মূল। তকদিরে (ভাগ্যে) থাকলে কর্ম বা পরিশ্রম না করেও পাওয়া যায়, এ ধারণা কোরআনের আয়াতের স্পষ্ট বিরোধী। তকদির কর্তৃক নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধ মানবশক্তির মধ্যে তদবির (চেষ্টা) করতে হবে। এটাই সাধকের কর্মজীবনের আদর্শ। কর্মই সাধকের ইবাদত।
মানবের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (স.) সর্বশ্রেষ্ঠ; তিনি তাঁর কর্মব্যস্ত জীবন দ্বারা তা প্রমাণ করে গেছেন। প্রত্যেক ব্যক্তি তার কর্মের জন্য দায়ী। ইসলাম ব্যক্তিগত দায়িত্ব স্বীকার করে। প্রত্যেকেই স্বীয় কর্মের জন্য পুরস্কার বা শাস্তি পাবে।
কোরআনে আল্লাহ ঘোষণা করেন, ‘ছোট, বড় সকলই লিপিবদ্ধ হয়।’ আমি প্রত্যেক মানবের কার্যাবলি তার গলায় ঝুলিয়ে রেখেছি। বিচারের দিন তা বের করব। ‘প্রত্যেকে নিজ নিজ কর্মের জন্য দায়ী। একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না।’
‘যারা প্রাতে ও সন্ধ্যায় আল্লাহকে স্মরণ করে, তাদেরকে বিতাড়িত করো না। তারা তাঁরই অনুগ্রহ প্রার্থী। তাদের কোনো কর্মের জন্য তোমরা দায়ী নও এবং তোমাদের কোনো কর্মের জন্য তারা দায়ী নয়।’ কর্মক্ষয় হয় না, সংরক্ষিত থাকে। কোনো কিছু অর্জন করতে হলে কর্ম ও পরিশ্রম আবশ্যক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।