স্পোর্টস ডেস্ক: একজন মানুষের লালা বা থুতু থেকে অপর ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে করোনা। যার ফলে ক্রিকেটারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কঠোর হচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)।
প্রাণঘাতী ভাইরাসের কবল থেকে বাঁচতে বল চকচকে করতে লালার ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে পারে আইসিসি। এর পরিবর্তে কৃত্রিম উপায়ে বল উজ্জ্বল করার ব্যবস্থা করতে পারে তারা।
তবে আইসিসির এ ভাবনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস কিংবদন্তি মাইকেল হোল্ডিং এবং পাকিস্তানের কিংবদন্তি সাবেক পেসার ওয়াকার ইউনিস।
ক্রিকেট মাঠে সুইংয়ে বাড়তি সুবিধা পেতে বল মসৃণ করতে মুখের লালা বা থুতু ব্যবহার করেন পেসাররা। এ ক্ষেত্রে সতীর্থ ক্রিকেটাররাও তাদের সহায়তা করেন। করোনা পরবর্তী সময়ে এ দৃশ্য হয়তো আর দেখা যাবে না।
কৃত্রিম উপায়ে বল ঘষে চকচকে করার অভিযোগে অতীতে অসংখ্য ক্রিকেটারকে শাস্তির কবলে পড়তে হয়েছে। করোনাপরবর্তী সময়ে সেই রীতিই বৈধ করতে চলেছে আইসিসি।
বিশ্ব ক্রিকেটের নীতিনির্ধারণী সংস্থা জানিয়েছে, লালার ব্যবহার বন্ধ করতে কীভাবে লাল বল (টেস্টে ব্যবহার) উজ্জ্বল করা যায়, তা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বল পালিশ করতে কৃত্রিম বস্তু ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হতে পারে।
আইসিসি জানিয়েছে, নতুন রীতির রোডম্যাপ তৈরি হতে কিছুটা সময় লাগবে। অদূর ভবিষ্যতে বল চমকাতে ফাস্ট বোলাররা স্বীকৃত কোনো বস্তু ব্যবহার করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তা ফিল্ড আম্পায়ারদের দেখানো এবং তাদের অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক করা হবে।
তবে এ নিয়ে একমত হতে পারছেন না সাবেক ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলার হোল্ডিং। তিনি বলেন, ক্রিকেটে বল বিকৃতি নিষিদ্ধ। সেটিকেই সাজিয়ে-গুছিয়ে পরিবেশন অনর্থক। এ ছাড়া করোনার প্রভাব রুখতে কোনো ম্যাচের আগে ক্রিকেটারদের আইসোলেশনে রাখলে লালার ব্যবহারে বিপদের আশঙ্কা থাকবে না।
একই সুরে কণ্ঠ মিলিয়েছেন সাবেক পাকিস্তানি পেসার ওয়াকার। তিনি বলেন, লালা দিয়ে বল চকচকে করা ক্রিকেটারদের সহজাত প্রবৃত্তি। এ নিয়ম পরিবর্তন করা উচিত নয়। এভাবে ক্রিকেটারদের হাত বেঁধে দিলে ক্রিকেটের মান পড়ে যাবে।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।