জুমবাংলা ডেস্ক : আজকে আমার মায়ের নিখোঁজের চব্বিশতম দিন! আজকেও আমি আমার মাকে খুজঁছি! দেখুন আমি খাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি,কাজ করছি স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছি প্রায়! স্বার্থপরের মতো মা’কে নিয়ে চিন্তাও ছেড়ে দিলাম কি! এতটাই স্বার্থপর আমি!
জানেন মাকে নিয়ে চিন্তা আমার সারাক্ষণ হয়,এক মুহূর্তের জন্য মাকে মাথা থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও রাখতে পারিনি! মা’য়ের কথা চিন্তা করলেই আমার শরীর কাঁপতে থাকে! আমি ভয় পাই,একটা কঠিন কিন্তু চাপা কষ্ট আমাকে ঘিরে ধরে!
আজকে চব্বিশ দিন পরেও আমি খেতে পারিনা, আমি ঘুমোতে পারিনা, আমি মা’কে নিয়ে ভাবতে পারিনা! আমার ভয় করে কিছু ভাবতে! আমার মা খেতে পাচ্ছেতো! মায়ের সাথে কোনও অন্যায় হচ্ছে নাতো! মা ঘুমোতে পারছে তো! মা ভলো আছে তো! আচ্ছা মা কি পথ চেয়ে আছেন, “আমার বাচ্চারা কবে আমার কাছে এসে আমাকে মুক্ত করবে!”
আল্লাহ আমার মাকে আপনি হেফাজত করুন! আপনি ছাড়া আর কার কাছে আমি সাহায্য ভিক্ষা চাইতে পারি আল্লাহ!
ফেসবুকে এমনই আর্তনাদ জানাচ্ছেন মরিয়ম মান্নান। সোমবার দুপুরে মরিয়ম বলছিলেন, ‘আমরা খুলনা ছেড়ে দেব। আমার মাকে খুঁজে পেতে যে কোনো শর্ত মেনে নেব। তবু আমার মাকে খুঁজে পেতে চাই।’
মায়ের নিখোঁজ হওয়া প্রসঙ্গে মরিয়ম বলেছিলেন, গত ২৭শে আগস্ট রাত থেকে আমার মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঐ দিন রাত ১০টায় বা তার একটু পরে আমার মা বাসার নিচে পানির টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যায়। ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে মা ফিরে আসে না। এরপর মাকে খোঁজা শুরু করে সবাই। মায়ের পায়ের জুতা, গায়ের ওড়না, পানির পাত্র পড়ে ছিল কিন্তু সেখানে আমার মা ছিল না। আমরা ধারণা করছি, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আমার মাকে অপহরণ করা হতে পারে।
আমার মা রহিমা বেগম ও তার দ্বিতীয় স্বামী মো. বিল্লাল হাওলাদারকে নিয়ে তাদের খুলনার দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা খানাবাড়ি হোল্ডিং নং-৩৫ এর দ্বিতীয় তলায় বসবাস করতেন। আমরা ছয় ভাইবোন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি।
আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে তাকে না পেয়ে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার। পরেরদিন ২৮ আগস্ট অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আদুরী খাতুন দৌলতপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৫।
দৌলতপুর থানা পুলিশ ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন ৫ জনকে আটক করে রিমান্ডে এনেছে। নিখোঁজ রহিমা বেগমের পরিবারের একটি সূত্র জানায়, এক বছর পূর্বে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে হামলার শিকার হন রহিমা বেগম এবং তার এক কন্যা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।