জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় এক গৃহবধূ (৩২) সংঘবদ্ধধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সংঘবদ্ধধর্ষণে সহযোগিতা করায় গৃহবধূর মা ও ধর্ষক সাবেক দুই স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মাসহ ছয়জনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করলে রাতেই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গৃহবধূকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত হলেন- কাকরাজান ইউনিয়নের তৈলধরা গ্রামের বাসিন্দা সংঘবদ্ধধর্ষণের শিকার গৃহবধূর মা, প্রথম স্বামী ও সখীপুর পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুল কাদের (৫৫) এবং কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা দ্বিতীয় স্বামী আবদুর রহমান (৩৯)। বুধবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেয়েকে কবিরাজ বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে উপজেলার কীর্ত্তণখোলা ধুমখালি বেইলি ব্রিজের কাছে নিয়ে যান মা। সেখানে মোটরসাইকেলযোগে হেলমেট পরা দুই যুবক এলে মেয়েকে তাদের হাতে তুলে দেন মা।
পরে পৌর শহরের একটি পরিত্যক্ত দোকানে আটকে রেখে সাবেক স্বামী আবদুল কাদের ও আবদুর রহমানসহ পাঁচজন মিলে পালাক্রমে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। এ সময় গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষকরা তাকে রেখে পালিয়ে যান। রাত ১টার দিকে বিবস্ত্র অবস্থায় পাশের এক বাড়িতে গেলে ওই বাড়ির লোকজন গৃহবধূকে কাপড় দেন। খবর পেয়ে স্ত্রীকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান বর্তমান স্বামী।
সখীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির উদয় বলেন, গৃহবধূর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধর্ষণে সহযোগিতা করায় মা ও সাবেক দুই স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর ধর্ষকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, বুধবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গৃহবধূকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। শারীরিক সমস্যা থাকায় আগামী ২৭ মে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



