লাইফস্টাইল ডেস্ক : চলে এসেছে গ্রীষ্মকাল। রোদের তাপ দিনকে দিন বেড়েই চলছে। এদিকে, অফিসে যাতায়াত করার সময় গরমে বেশ খানিকটা সময় যানজটে পড়ে থাকতে হয়। তাই গরমে কমফরটেবল থাকার জন্য পোশাক পরার ক্ষেত্রে আমাদের সবারই সচেতন হওয়া উচিত। সঠিক পোশাক নির্বাচন এবং তার সঠিক ব্যবহার না করলে তা আপনার জন্য হয়ে উঠবে অস্বস্তির কারণ। তাই ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেঁছে নিন আপনার পছন্দের পোশাকটি। তবে ফ্যাশন এবং আরামের বিষয় মাথায় রেখেই এই গরমে অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে জমকালো ভারি কাজ করা সব পোশাক।
১. গ্রীষ্মে বেছে নিতে পারেন পাতলা সুতি কাপড়ের পোশাক যা পরলে একদিক থেকে যেমন গরম কম লাগবে, অন্যদিকে আরামও লাগবে। ফলে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করা যাবে। এছাড়া ব্যবহার করতে পারেন পাতলা ফিনফিনে সুতিতে কাজ করা কামিজ,,অরবিন্দুসহ বাহারি পাতলা তাঁত ও খাদি কাপড়ের পোশাকও। শর্ট শার্ট ও জামার সাথে শিফনের ওড়নাও বেশ আরামদায়ক হয়।
২. গরমে সবসময় হালকা রঙের উপর প্রাধান্য দিতে হয়। এতে করে গরম কম অনুভব হয়। ফ্যাশনে ফতুয়া বেশ জনপ্রিয়। তাই এই গরমে নারী-পুরুষ সবাই জিন্সের সঙ্গে বেঁছে নিতে পারেন হালকা রঙের বিভিন্ন সুতার কারুকাজ করা ফতুয়া। এছাড়া নারীরা ফতুয়ার সঙ্গে, প্লাজো, স্কার্ট অথবা ধুতি সেলোয়ারও পরতে পারবেন।
৩.অফিস অথবা বিশেষ দিনগুলোতে নারীরা শাড়ি পরে থাকেন। সেক্ষেত্রে গরমে স্বস্তি পেতে হালকা রঙের শাড়ি যেমন সুতির ব্লক, টাঙ্গাইলের শাড়ি, অ্যাপ্লিকের শাড়ি, ছাপা শাড়ি, ব্লক-বাটিকের সুতি ট্রেন্ডি শাড়ি, অথবা পাতলা সাটিন বা জর্জেটের শাড়িও পরতে পারেন।
৪.ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সবার জন্যই গরমে সবচেয়ে আরামদায়ক পোশাক হলো টি-শার্ট। তবে হালকা রঙ দেখে গরমে টি-শার্ট পরতে হবে।
৫.বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছেলেরা বেশে নিতে পারেন হালকা রঙের সুতি পাঞ্জাবি। এছাড়া গরমে ছেলেদের জন্য সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক পোশাক হচ্ছে টি শার্ট। বিশেষ করে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলেরা জিন্স,গ্যাবাডিন কিংবা অন্যান্য প্যান্টের সঙ্গে টি-শার্ট পড়তে পারেন।
সাদা,আকাশি, গোলাপি,নীল, হালকা বেগুনি, লেমন কালার, এসব রঙের পোশাকই গরমে হয়ে থাকে বেশ আরামদায়ক। তাই পোশাক কেনার সময় এসব রঙকে দিন প্রধান্য ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।