আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় শনিবারও বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। লাগাতার হামলা থেকে জীবন বাঁচাতে সীমান্তের কাছে বসবাস করা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া শুরু করেছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, উত্তর গাজায় প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে গেছে। অনেকে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। খবর আল জাজিরার
গত সোমবার থেকে ইসরায়েল ও গাজার হামাস বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র রূপ নিয়েছে। ২০১৪ সালের গাজা যুদ্ধের পর ইসরায়েল ও হামাসের একে অপরের বিরুদ্ধে এটিই সবচেয়ে বড় আক্রমণের ঘটনা।
এই হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু ৩৬ জন। এছাড়া ইসরায়েলের হামলায় আহত হয়েছে আরও ৯২০ জন।
নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গাজার একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ছয় শিশুসহ কমপক্ষে দুইজন নারী নিহত হয়েছেন।
পাল্টা জবাবে ফিলিস্তিন শনিবার ভোরে ইসরায়েলের আশদোদ শহরের দিকে রকেট নিক্ষেপ করেছে।
হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে কমপক্ষে নয়জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন অবস্থানের দিকে কয়েকশ’ রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে কর্মরতরা জানিয়েছে, শুক্রবারের হামলায় গাজায় অন্তত ২০০টি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
শুক্রবার বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল বাহিনীও হামলায় অংশ নেয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এদিন গানবোট, যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার কররে গাজায় বোমা বর্ষণ করা হয়। ইসরায়েলের বিমান হামলায় মধ্য গাজায় ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের তিন শীর্ষস্থানীয় নেতার বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার ন্যাশনাল প্রডাকশন ব্যাংক ভবনও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।