নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হাঁসফাঁস করছে জনজীবন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না অধিকাংশ মানুষ। এ কারণে গাজীপুরের দুই মহাসড়কে কমেছে যাত্রীর চাপ। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যাত্রী না থাকায় কমে গেছে তাদের আয় রোজগার।
গত এক সপ্তাহ ধরে গাজীপুরে তাপমাত্রা গড়ে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। শিল্প কারখানার কারণে এই অঞ্চলে দেশের বিভিন্ন জেলার লাখো মানুষ বসবাস করছেন। এবার তীব্র গরমের কারণে দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে তাদের। বিশেষ করে রিকশা চালক, ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের রোজগার কমেছে কয়েকগুণ।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে রাস্তায় বিভিন্ন গন্তব্যের দিকে যেতে ইচ্ছুক যাত্রীদের সংখ্যা অনেক কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। গাড়িগুলোর সিট খালি থাকছে। আয় রোজগার কমে গেছে। পেটের দায়ে পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের অনেকেই মহাসড়কে অবস্থান করছেন।
ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে অটোরিকশা চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, আগে ভাবতাম বৃষ্টি হলে ইনকাম কমবে। কিন্তু, এখন মন থেকে বৃষ্টি চাচ্ছি। টানা ৩০ মিনিট সড়কে থাকলে অস্থির হয়ে যাই। গাছ বা দোকানের ছায়ায় গিয়ে বসে থাকি। তাতেও লাভ হয় না।
তাকওয়া পরিবহনের চালক আলতাফ বলেন, আমরা সাধারণত কালিয়াকৈর চন্দ্রা থেকে গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত বাস চালাই। প্রতি টিপে সিট ভরার পরেও দাড়িয়ে যাত্রীরা যেতেন। গত কয়েকদিন ধরে যাত্রী অনেক কমে গেছে। আমাদের আয়ও কমেছে অনেক। সূর্যের তাপ না কমা পর্যন্ত পরিস্থিতি এমনই থাকবে বলে মনে হচ্ছে।
বাসন এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন, বাসস্ট্যান্ডে লোকজন কম। এটি স্বাভাবিক। কেননা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাসা হতে বের হওয়া হচ্ছে না। বাড়ির বাইরে ৫ মিনিট দাঁড়ালে গরমে শরীর পুড়ে যাচ্ছে।
সালনা হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে যাত্রী তুলনামূলক কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিকেলের দিকে স্বাভাবিক থাকে পরিস্থিতি। হাইওয়ে পুলিশ বক্সে যাত্রীদের বসার সুব্যবস্থা করা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।