জুমবাংলা ডেস্ক : গ্রামের একজন সাধারণ গৃহবধূ তিনি। কিন্তু তার একটি উদ্যোগ বদলে দিচ্ছে সমাজকে। দ্বীনি শিক্ষায় আলোকিত হচ্ছে গ্রাম। বলছি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজে’লার গালা গ্রামের মঞ্জুয়ারা বেগমের কথা। যিনি টানা সাত বছর ধরে নিজ বাড়ির উঠানে নানা বয়সী মানুষকে বিনামূল্যে কোরআন শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। তার কোরআন শিক্ষার আসরে বর্তমানে শি’শু ও নারীসহ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০ জন।
জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত পু’লিশ সদস্য আব্দুল মজিদের স্ত্রী’ মঞ্জুয়ারা বেগম। শিক্ষায় বড় কোনো ডিগ্রি নেই তার। দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তবে ছোট বেলায় গ্রামের মক্তবে শিখেছেন কোরআন তেলাওয়াত। মাঝেমধ্যে সহযোগিতা নেন স্থানীয় আলেম’দের।
ধ’র্মীয় কিতাব পাঠ ও চর্চা বাড়াতে নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন কোরআন শিক্ষার মক্তব। প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত তার মক্তবে কোরআন শিক্ষা নেন শিক্ষার্থীরা। তবে খোলা আকাশের নিচে কোরআন শিক্ষা দিতে গিয়ে রোদ-বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় প্রায়ই।
এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মঞ্জুয়ারা বেগমের বাড়ির উঠানে মাদুর পেতে দ্বীনি শিক্ষা নিচ্ছেন গ্রামের শি’শু, নারী ও বয়স্করা। মঞ্জুয়ারা বেগম মাঝখানে দাঁড়িয়ে পড়াচ্ছেন তাদের। পাশেই বসে আছেন স্বামী আব্দুল মজিদও।
মঞ্জুয়ারার মক্তবের প্রথম ছা’ত্রী গৃহবধূ সুমি আক্তার। তিনি বলেন, ছোট বেলায় কোরআন শিক্ষা নিতে পারিনি। বিয়ে হওয়ার পর মঞ্জুয়ারা বেগমের কাছে কোরআন শেখা শুরু করি। অনেক যত্ন নিয়ে বিনামূল্যে পড়াতেন মঞ্জুয়ারা। তাকে দেখে এলাকার অনেক গৃহবধূ, শি’শু এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী মঞ্জুয়ারার কাছে কোরআন শিক্ষা নিতে আগ্রহী হন।
মঞ্জুয়ারার এই মক্তবে মা-মে’য়ে এবং ছে’লে একত্রে বসেও দ্বীনি শিক্ষা নিচ্ছেন এমন পরিবারও রয়েছে। যাদের সবার কণ্ঠেই ছিল মঞ্জুয়ারা বেগমের এই উদ্যোগের প্রশংসা।
তারা বলেন, শুধু কোরআন শিক্ষা নয়, নামাজ পড়া, বড়দেরকে সম্মান করা শেখানোসহ নৈতিক শিক্ষাও দেয়া হয় এখানে।
স্থানীয় আলম’দী জামে ম’সজিদের ই’মাম হাবিবুল্লাহ জানান, মাঝে মধ্যে মঞ্জুয়ারা বেগম তার কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে আসেন। তিনি যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটা খুবই ভালো উদ্যোগ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।