জুমবাংলা ডেস্ক : সুপার সাইক্লোন আম্ফান সুন্দরবনে ৮ ঘন্টার সময় ধরে তান্ডব চালালেও বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন রেখে যেতে পারেনি। গাছ উপড়ে পড়েছে ১২ হাজার ৩৫৮টি। এতে করে গাছের ক্ষতি হয়েছে ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৬০ টাকার। মারা যায়নি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণসহ কোন বন্যপ্রানী।
১০টি জলযানসহ অবকাঠামোর ক্ষতির পরিমান দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪০০ টাকার। সবাই মিলিয়ে আম্ফানে আঘাতে সুন্দরবনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ ৩২ হাজার ৪৬০ টাকায়। সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে গঠিত ৪টি তদন্ত কমিটির দাখিলকৃত রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গতকাল রবিবার (২৪ মে) রাতে সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের দুই ডিএফও পৃথক ৪টি তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়েই তার ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেন। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন্ধ কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসনে ও খুলনার পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বশির আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুন্দরবন বিভাগের এ দুই শীর্ষ কর্মকর্তা তাদের কাছে চারজন রেঞ্জ কর্মকর্তার জমা দেয়া তদন্ত রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগে আম্ফানের তান্ডবে ১২ হাজার ৩৩২টি গেওয়া, গরান গাছ ভেঙে -উপড়ে গেছে। এরমধ্যে গরান গাছের সংখ্যা ১০ হাজার ৫৭৯টি। আর বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগে গাছ ভেঙে -উপড়ে পড়েছে মাত্র ২৬টি। এই ২৬টি গাছ হচ্ছে বন অফিস চত্ত্বরে বনায়ন করা নারকেল, তাল, ঝাউ, বট ও রেইনটি গাছ।
সুন্দরবনে আম্ফানের তান্ডবলীলায় ২৬টি জেটি ধ্বংস হয়ে গেছে। ৪৯টি ফরেস্ট অফিস ও ব্যারাক চাল উড়ে এবং গাছ পড়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। হারবাড়িয়ায় একটি ওয়াচ টাওয়ার ভেঙে পড়েছে। করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রর হরিণ ও ডলফিনের শেড ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের ১০টি জলযানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পূর্ব বিভাগে ১৭টি ও পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের ২৩টিসহ ৪০টি পুকুর জলোচ্ছ্বাসে লবণ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে সুন্দরবনে বাঘ-হরিণসহ বন্যেপ্রানীদের খাবার পানির উৎসে চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।