জুমবাংলা ডেস্ক :
রমজানের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে চলছে এক সপ্তাহের ‘কঠোর নিষেধাজ্ঞা’। আর রমজান এলেই প্রতিবছর হঠাৎ করে সরবরাহ সঙ্কটে মূল্যবৃদ্ধি ও সিন্ডিকেটের অজুহাত দেখিয়ে নিত্যপণ্যের বাজারের প্রতিটি জিনিসের দাম বৃদ্ধির নিয়মিত দৃশ্য দেখা যায়। তবে ব্যতিক্রম দেখা মিলছে এ বছর।
রমজানকে সামনে রেখে কমেছে ছোলা, মটর, ডাল, চিনি, তেল ও চিড়ার দাম। কিন্তু বেড়েছে আদা, রসুন এবং পেঁয়াজের দাম। দেশের বৃহৎ পাইকারি ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানা যায়, খাতুনগঞ্জে পাইকারি পর্যায়ে মানভেদে অস্ট্রেলিয়ার ছোলা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫৯-৭০ টাকায়। সপ্তাহখানেক আগেও বাজারে একই মানের ছোলা বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৬২-৭২ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও বাজারে প্রতিমণ মিয়ানমারের ছোলা বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৮০০ টাকা দরে। ১০০ টাকা কমে এখন ২ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে বাজারে কেজিপ্রতি মটর বিক্রি হয়েছে ৪১ টাকা। গত এক সপ্তাহ ধরে বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩৮ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মোটা জাতের মসুর বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকা ধরে দামে, যা এক সপ্তাহ আগেও কেজিপ্রতি ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কমেছে খেসারির দামও। এক সপ্তাহ আগে বাজারে প্রতি কেজি খেসারি বিক্রি হয়েছে কেজি ৭৩ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৬ টাকা দামে।
এক সপ্তাহ ধরে কমতে শুরু করেছিলো চিনির বাজারও। গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৬৪ টাকায়। এখন চিনি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬১ টাকায়। শুধু চিনিই নয়, কমতে শুরু করেছে ভোজ্যতেলের বাজারও। পাইকারিতে প্রতিমণ (৪০ দশমিক ৯০ লিটার) পামঅয়েল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮৫০ টাকায়। গত সপ্তাহ পর্যন্ত বাজারে পামঅয়েলের দাম ছিল ৩ হাজার ৯৫০ টাকা। সুপার পামঅয়েলের দাম ১০০ টাকা কমে ৪ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দামও মণে ১০০ টাকা কমে ৪ হাজার ৫০০ টাকা হয়েছে।
এছাড়া কমেছে চিড়ার দামও। মানভেদে প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) চিড়া বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩৫০ থেকে ২ হাজার ৬৫০ টাকা দরে, যা গত এক সপ্তাহ আগেও ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা ছিলো।
খাতুনগঞ্জে মেসার্স রহমত স্টোরের স্বত্বাধিকারী রহমত আলী বলেন, পণ্যের দাম এখন কমতির দিকে। কিন্তু লকডাউন শুরুর পর থেকে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ব্যবসা কমে গেছে। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে লকডাউনের আগে সকলেই পণ্য কিনে মজুদ করে ফেলেছেন। লকডাউনের সময় যদি আরও বাড়ে, এরকম ক্রেতারও সঙ্কট থাকে, তাহলে আমরা ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবো।
বাজারে তেল, চিনি, ডাল, ছোলা, মটর, মসুর ও খেসারি ডাল কমলেও বেড়েছে পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দাম। ভারতীয় পেঁয়াজ আগে বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়, এখন কেজিপ্রতি ৩১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ দুইদিন আগে ২৮ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এছাড়া ৪৬ টাকার আদা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকার উপরে। ৯৩ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে কেজি ৯৮ টাকায়।
এ বিষয়ে খাতুনগঞ্জ হামিদ উল্লাহ বাজার আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, লকডাউনের আগে ক্রেতার ভিড় একটু বেশি ছিলো। স্টকে চাহিদার তুলনায় পণ্যের পরিমাণ কম ছিলো। আর এসব পণ্যের মৌসুমও শেষের দিকে। তাই দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে রমজানে এসব পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।