জুমবাংলা ডেস্ক : শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১২ বছর বয়সী এতিম এক কিশোরীকে বিয়ে করার প্রস্তুতির সময় বর ও তার বড় ভাইকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমান এ নির্দেশ দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার গোজাকুড়া কয়ারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, বর দেলোয়ার হোসেন (৪০) ও তার বড় ভাই আন্তাজ আলী (৫০)। গোবিন্দনগর গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন এর আগেও তিনটি বিয়ে করেছিলেন। তবে সবার সঙ্গেই ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে চতুর্থ বিয়ে কারার জন্য গোজাকুড়া কয়ারপাড় গ্রামের বাবাহারা ওই দরিদ্র কিশোরীকে বিয়ে করার জন্য কিশোরীর মা ও নানিকে রাজি করান দেলোয়ার। এরপর নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে যায় বর দোলোয়ার ও তার বড় ভাই আন্তাজ আলী। কাজি ডেকে সাদা কাগজে কাবিনও করে ফেলে।
এ সময় থানা পুলিশ খবর পেয়ে বিয়েতে বাধা দেয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বর দেলোয়ারকে ১ বছর ১০ মাস ও তার বড় ভাই আন্তাজ আলীকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। তবে কাজিসহ কিশোরীর পরিবারের সবাই পালিয়ে যাওয়ায় তাদের শাস্তির আওতায় আনা যায়নি।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমান জানান, দেলোয়ারের চতুর্থ বিয়ের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বর ও তার ভাইকে দণ্ডাদেশ দিয়ে রাতেই শেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।