জুমবাংলা ডেস্ক : বৈদ্যুতিক মিটার চুরি যেন থাকছেই না। মিটার চুরির পর চোর একটি নম্বর রেখে যান বিকাশের মাধ্যমে টাকা নেয়ার জন্য। এরপর চাহিদামতো টাকা পেলে পরে মিটারটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে আসা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় আবারও সাতটি শিল্প বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়। এগুলোর মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান সরকারের চালকলের মিটারও রয়েছে। পরে একটি ছোট কাগজে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ধামইরহাট সদর এলাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান সরকারের চালকলসহ পাঁচটি চালকল ও দুইটি ওয়ার্কশপের শিল্প মিটার চুরি হয়। প্রতিটি মিটারের জায়গায় একটি ছোট কাগজে ফোন নম্বর লিখে রাখা হয়েছে। এভাবে চুরির ঘটনায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে।
চোর চক্রের একজনের সঙ্গে রেখে যাওয়া নম্বরে যোগাযোগ হয়। যুগান্তরের কাছে ওই ব্যক্তির নাম সাগর বলে জানায়। তিনি প্রথমে মিটার ফেরত দিতে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে আট হাজার টাকা চূড়ান্ত হয়। তারা ছয়জন একসঙ্গে কাজ করেন।
হৈমন্তী ওয়ার্কশপের স্বত্বাধিকারী হরেণ বাবু যুগান্তরকে বলেন, পূর্ববাজার এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রাতে বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। মিটারের স্থানে সিগারেটের প্যাকেটের কাগজে একটি মোবাইল নম্বর লিখে রেখে যায় তারা। সকালে মিটার চুরি হয়ে যাওয়া স্থান থেকে প্রাপ্ত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। মিটার নিতে হলে ১০ হাজার টাকা বিকাশ করলে ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেয় দুর্বৃত্তরা।
ধামইরহাট থানার ওসি আব্দুল মমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িত চক্রকে দ্রুত আটক করা সম্ভব হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।