জুমবাংলা ডেস্ক : মানিকগঞ্জের সিংগাইরের মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছেন। ওই শিক্ষককে পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার শিক্ষকরা হলেন- উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের আলীনগর-ওয়াইজনগর মুহাম্মদিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ মুফতি সাইফুল ইসলাম, মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি আবদুল আউয়াল ও ক্বারী সাইফুল ইসলাম।
অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষকের নাম রমজান আলী। তার বাড়ি পাবনার বেড়া উপজেলার মানিকনগর গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নয় বছরের ওই ছাত্রকে প্রায়ই যৌন হয়রানি করে আসছিলেন রমজান আলী। তিনি মাদ্রাসাতেই একটি কক্ষে থাকতেন। গত ১১ সেপ্টেম্বর (শনিবার) দুপুরে ওই ছাত্রকে মাদ্রাসায় নিজ কক্ষে ডেকে নেন রমজান আলী। এরপর শিশুটিকে বলাৎকার করেন তিনি। ঘটনাটি কাউকে জানালে শিশুটিকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এলাকায় ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষক রমজান আলী পলাতক রয়েছেন। বিষয়টি জানার পর মঙ্গরবার রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়। এ ঘটনায় এরপর রাতেই অধ্যক্ষকসহ তিন শিক্ষককে আটক করে থানায় আনা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির দাদি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শিক্ষক রমজান আলীকে প্রধান করে থানায় মামলা করেছেন। এ ছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষককে পালাতে সহযোগিতায় করায় গ্রেপ্তার তিনজনকেও আসামি করা হয়েছে।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, গ্রেপ্তার তিন আসামিকে বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।