শওগাত আলী সাগর: একজন তরুণকে বেধড়ক পিটাচ্ছে আরো কিছু তরুন। তারা সবাই বুয়েটের ছাত্র, যারা নিজেদের দেশের সেরা কিংবা সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র হিসেবে দাবি করেন। এই পর্যন্ত ভাবতেই চিন্তাগুলো কেমন এলোমেলো হয়ে যায়! এটা কি করে সম্ভব! এও সম্ভব! কিন্তু ঘটনাটি ঘটেছে। বুয়েটের কিছু শিক্ষার্থী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা সরকার সমর্থক ছাত্রলীগের নেতা এবং কর্মী।
আবরার নামে বুয়েটের ছাত্রটিকে কেন মেরে ফেলা হলো? তাকে শিবির কর্মী হিসেবে সন্দেহ করা হয়েছিলো? শিবির কর্মী হলেই তাদের পেটানো যাবে! তাদের মেরে ফেলা যাবে! কেন? শিবিরের রাজনীতি কি দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে? তা হলে? কেউ শিবিরের রাজনীতি করলেই তাদের পেটানো যাবে, মেরে ফেলা যাবে- এই সিদ্ধান্ত কে দিলো? শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হলেই কি তার কর্মীদের মেরে ফেলার অধিকার তৈরি হতো!
বুয়েট ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা এবং কর্মী এই খুনের ঘটনাটি এমন সময় ঘটিয়েছে যখন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আগ্রহে দেশে বহুল আলোচিত একটি অভিযান চলছে। ছাত্রলীগের এই নেতাকর্মীরা কি সেই অভিযানকে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করেছে! তারা কি সরকারকে বিশেষ কোনো বার্তা দিতে চেয়েছে?
পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ছাত্রলীগের নেতারা আবরারের ফেসবুক পোস্ট এবং ম্যাসেঞ্জার যাচাই বাছাই করেছে। আবরারের সর্বশেষ পোস্টটি ভারতের সাথে বাংলাদেশের পানি সমস্যা নিয়ে। সেই পোস্টটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আবরারের পোস্ট এবং খুনের ঘটনাটিকে পাশাপাশি দাঁড় করালে যে কারো মনে হতে পারে (১) সরকারের সমালোচনার কারণে (২) ভারতের সমালোচনার কারণে আবরারকে মেরে ফেলা হয়েছে। দুটিই সরকারের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর, দুটিই সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বুয়েট ছাত্রলীগ কি সরকারকে এইভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এই খুনের ঘটনাটি ঘটিয়েছে!
আবরারকে ডেকে নেয়া, জিজ্ঞাসাবাদ করা থেকে পিটিয়ে মেরা ফেলা পর্যন্ত যারা জড়িত ছিলো সবারই নাম পরিচয় পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। আমরা দেখতে চাই সরকার কতটা দ্রুততায় এদের আইনের আওতায় আনে।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, নতুন দেশ ডটকম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।