জুমবাংলা ডেস্ক: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট পৌরসভা হাসপাতাল গেটে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চরএলাহী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রেজ্জাকসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এ সময় ভাংচুর করা হয়েছে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আহতরা কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রেজ্জাকসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত অন্যরা হলেন- আব্দুর রেজ্জাকের ছেলে রাজিব হোসেন, মো. শরীফ, আল মাহাদী ফয়সল ও আবুল কালাম।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বসুরহাট হাসপাতাল সড়কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রেজ্জাক (৪৩), তার ছেলে রাজিব (১৯), ওই ইউনিয়নের আব্দুর রবের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৫০), আব্দুল মমিনের ছেলে এনাম (৩১), ওজি উল্যার ছেলে রাসেল (২৬), ধনু মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম জীবন (৩৫), বেলাল হোসেন (২৭), আবুল খায়েরের ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবুল কালাম (২৮), আব্দুল মন্নানের ছেলে আব্দুল মালেক (৪২), তার ভাই আব্দুর রহমান (২৬), দেলোয়ার হোসেন (৪০), মো. এনাম (৩১), জামাল উদ্দিন (৩৫), মো. বাহারসহ (৩৫) কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
সংঘর্ষের ঘটনায় চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি বাদী হয়ে চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রেজ্জাককে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা চত্বরে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকালে চরএলাহী ইউনিয়ন থেকে বাসযোগে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে বসুরহাট বাজারে আসছিল। মিছিলটি বসুরহাট হাসপাতাল গেট এলাকায় পৌঁছলে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রেজ্জাকের ছেলে রাজিবকে উদ্দেশ করে মিছিলে থাকা কয়েকজন উস্কানিমূলক কথা বলেন।
এতে মিছিলে থাকা চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি ও চেয়ারম্যান রেজ্জাক গ্রুপের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট পূর্বশত্রুতার জের ধরে এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষ হয়ে বাকবিতণ্ডার পর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গণির বাড়িতে হামলা, ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন মেম্বারকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মহরম আলীকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।
চেয়ারম্যান আব্দুর রেজ্জাক অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি তার ভাই বাহার ও ভাগিনা মিন্টুর নেতৃত্বে তাদের লোকজন মিছিলে থাকা আমার ছেলে রাজিবের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আমরা তাকে বাঁচাতে গেলে আমাদেরও পিটিয়ে জখম করে তারা। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন মেম্বার অভিযোগ করে জানান, তার লোকজনের ওপর রেজ্জাক চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসীরা হামলা করে কয়েকজনকে আহত করেছেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রেজ্জাক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গনি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত ও কয়েকটি দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান রেজ্জাকসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।