একের পর এক বিতর্কে জড়াচ্ছেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। গত শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে গণভবনে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে শোভন রাব্বানীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ প্রকাশিত হচ্ছে।
জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি দেয়ার ক্ষেত্রে ৪০ লাখ টাকা লেনদেনের একটি অডিও ভাইরাল হয়। আর, শুক্রবার ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল।
সময়ের কণ্ঠস্বরের পাঠকদের সুবিধার্থে শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
‘জনাব শোভন, রাব্বানী সাহেব…..
কেমন আছেন? মধুচন্দ্রিমা তো শেষ, এখন তো আর পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পাবেন না। নিজেদেরকে মহাপ্রতাপশালী ভেবেছিলেন, এখন দেখেন আপনাদের খুটির জোর কতটুকু। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আপনাদেরকে নেতা বানিয়েছিল, আর আপনারা আপাকে কষ্ট দিলেন? আপা আপনাদেকে ক্ষমতা যেভাবে দিয়েছেন, আবার নিয়েও যাচ্ছেন। ছাত্রলীগের ইতিহাসে একমাত্র সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আপানারা যারা কিনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে প্রবেশে নিষিদ্ধ হয়েছেন।
জনাব রাব্বানী সাহেব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি স্থগিত করে আমাকে আর তরিকুলকে ডেকে নিয়ে মাসে কত টাকা করে যেন চেয়েছিলেন কমিটি ঠিক করে দেওয়ার জন্য? আর জগন্নাথের নতুন ক্যাম্পাসে বালু ভরাটের কাজের জন্য যে ঠিকাদার টা পাঠিয়েছিলেন তার নাম মনে আছে? বালু ভরাট ঘনফুট কত টাকা করে যেন বলেছিলেন? আপনি ভুলে গেলেও আমি ভুলি নাই। সেগুলো প্রমাণসহ দেওয়া হয়েছে। আমাদের কমিটি ভেঙ্গে যে মজা নিয়েছিলেন সেই মজা এখন আমি পাচ্ছি। আমরা বারবার বলার পরও পূর্নাঙ্গ কমিটি করতে না দিয়েই আমাদের কমিটি বিলুপ্ত করলেন। এখন তো মনে হচ্ছে আপনারা আর কোনো ইউনিটের কমিটি দিতে পারবেন না। আপনাদের এত ক্ষমতা তাহলে ফেব্রুয়ারিতে জগন্নাথের কমিটি বিলুপ্ত করে এখনো কমিটি দিতে পারলেন না কেন? নাকি পদপ্রত্যাশীদের পিছনে পিছনে ঘুরিয়ে প্রটোকল নেওয়ার ধান্দা। এসব ভন্ডামী ছাত্রসমাজ বুঝে গেছে। ১বছর ২মাসে ১১০টি সাংগঠনিক জেলা ইউনিটের মধ্য মাত্র ২টা কমিটি দিয়েছেন, তাও ইবি ছাত্রলীগের কমিটিতে ৪০লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে। যদিও টাকা লেনদেনের বিনিময়ে কয়েকটি উপজেলা কমিটি দিয়েছেন। বাকী ১০৮ ইউনিট কমিটি মনে হয় না আর দিতে পারবেন, যদি না দেশরত্ন আপনাদেরকে ক্ষমা করে শেষ সুযোগ না দেন।
দেশরত্নের সাথে যে অন্যায় করেছেন সবকিছুর জন্য ক্ষমা চেয়ে দেশরত্ন থেকে কয়েকমাস সময় চেয়ে নিয়ে মেয়াদ পূর্ণ করে যেন বিদায় নিতে পারেন এই কামনা করি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।