জুমবাংলা ডেস্ক : জাহাঙ্গীরনগর ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার বিচার ও সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ছাত্র ফেডারেশন।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় এ দাবিতে শাহবাগে ছাত্র ফেডারেশনের বিক্ষোভ সামাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান খান রিচার্ডের সঞ্চালনায় সমাবেশ বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিশোয়ার সাম্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজীব ওয়াফী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাশকুর রাতুল, ছাত্র ফেডারেশনের কুমিল্লা শাখার আহ্বায়ক তানভীর হাসান, নারায়ণগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস জামান ও ঢাকা মহানগর শাখার সম্পাদক অনুপম রায় রুপক।
বক্তরা বলেন, ‘শিক্ষাঙ্গনগুলোতে কি ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আপনারা সকলেই তা জানেন। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের হলগুলো বন্ধ রয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন কি ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে। সারা দেশের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও হল খোলা হচ্ছে না। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা হল খোলার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এ থেকেই আমরা বুঝতে পারছি, সরকার ও প্রশাসনের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে বিপুল শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। এই অনিশ্চয়তা থেকে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে হল ও ক্যাম্পাস খুলে দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা কি ভয়াবহ নিরাপত্তা সংকটের মধ্যে রয়েছে তা সাম্প্রতিক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা বুঝতে পারছি। এমনকি আশ্চর্যজনকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে মাফিয়াদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
তারা বলেন, জাবি প্রক্টর সবধরণের লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে বলেছেন, ক্যাম্পাসের বাইরের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব তিনি নিতে পারবেন না। আমরা প্রক্টরের এই দায়িত্বজ্ঞানহীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে তার অপসারণ দাবি করি এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিটি গঠন করে ববি ও জাবির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার তদন্ত ও দোষীদের বিচার করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।