জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনো-জুয়াবিরোধী অভিযানের মধ্যে গত ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে জি কে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে দুইশ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানায় র্যাব। শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে ওই সময়ই গ্রেপ্তার করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত হোসেন হিরণ অস্ত্র আইনের মামলায় শামীমকে আরও সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে তার বিরোধিতা করেন শামীমের আইনজীবী আব্দুর রহমান হাওলাদার।
তিনি বলেন, “প্রসিকিউশনের সব বক্তব্য মিথ্যা। তার (শামীমের) সব অস্ত্র লাইসেন্স করা। তার কাছ থেকে যে ৩২ বোরের পিস্তল পাওয়া গেছে বলে মামলায় বলা হয়েছে, তা সঠিক নিয়মে নিবন্ধিত ছিল ২০১৬ সাল পর্যন্ত। অস্ত্রের লাইসেন্সের দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেট তো সেই লাইসেন্স বাতিল করেননি। আগে লাইসেন্স বাতিল করেন, তারপর বলেন যে অবৈধ অস্ত্র রাখছি।”
এ মামলায় একবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আবারও কেন রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন রাখেন শামীমের আইনজীবী।
এ পর্যায়ে বিচারক মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম দুই মামলার রিমান্ড শুনানির আদেশ একসঙ্গে দেবেন জানিয়ে মুদ্রা পাচার মামলার রিমান্ড শুনানি শুরু করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যের পর আব্দুর রহমান হাওলাদার বলেন, “আমার মক্কেল এখন ১৯টি বড় কাজ করছেন ঠিকাদার হিসেবে। র্যাবের হেডকোয়র্টার ৪৩৮ কোটি টাকার কাজ, সংসদ ভবনের কাজ, রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ, সচিবালয়ের তিনিটি ভবনের কাজ, পঙ্গু হাসপাতালের কাজ, এনবিআর ভবনের (জাতীয় রাসজস্ব বোর্ড ভবন) কাজ, নিউরো মেডিসিন ভবনের কাজ করছেন তিনি।”
কোন কাজ কত টাকার, সেই তথ্য শুনানিতে তুলে ধরে আইনজীবী বলেন, “তিনি একজন আয়করদাতা, ভ্যাটদাতা, সফল ও বড় ব্যবসায়ী। সরকার ও রাষ্ট্রের কল্যাণে বড় অংশীদার। টাকা থাকা কি অপরাধ? তার কার্যালয়ে অনেক টাকা থাকবে, এটাতো অত্যন্ত স্বভাবিক ঘটনা। তার কয়েকশ কর্মী রয়েছে। তার কোটি টাকার ডিলিংস, ট্র্যানজেকশন। তিনি তো পাচারের জন্য এসব টাকা রাখেননি।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।