জুমবাংলা ডেস্ক : ঝালকাঠিতে বিসিক শিল্পনগরী গড়ে উঠলেও প্লট বরাদ্দ কার্যক্রম শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। উন্নয়ন খরচ বেশি হওয়ায় উদ্যোক্তাদের আগ্রহ কম। তবে পদ্মা সেতু ও পায়রা সমুদ্রবন্দর চালু হলে এ শিল্পনগরী প্রাণ ফিরে পাবে বলে মনে করছে বিসিক কর্তৃপক্ষ। এদিকে, বিসিকের জমির মালিকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আদালতে মামলা করেছেন।
বরিশাল-ঝালকাঠি-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন ঝালকাঠির ঢাপড় এলাকায় ১১.৮ একর জমিতে প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হয়েছে শিল্পনগরী। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৪ বছরে নির্মাণ সম্পন্ন হয়। বিসিকের প্লটভুক্ত জমির পরিমাণ ৮.২৬ একর।
চলতি বছরের ৩ ফেব্ররুয়ারি আবেদন জমা দেয়ার শেষ তারিখ থাকলেও ৭৯টি প্লটের অনুকূলে আবেদন পড়েছে মাত্র ১১টি। তার মধ্যে যাচাই-বাছাইতে টিকেছে ছয়টি। তিন শ্রেণির প্লটের প্রতি বর্গফুটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০০ টাকা। ৬ হাজার বর্গফুটের প্লটের মূল্য ৩৬ লাখ, ৪ হাজার ৫০০ বর্গফুট প্লটের মূল্য ২৭ লাখ এবং ৩ হাজার ২০০ বর্গফুট প্লটের মূল্য ১৮ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্লট বরাদ্দের পর উদ্যোক্তা পাবে পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ সুবিধা। এ তিন ধরনের প্লট ছাড়াও স্পেশাল শ্রেণির প্লট আছে ১১টি। প্লটের দাম বেশি নির্ধারণের বিষয়ে বিসিক কর্মকর্তারা বলছেন, জমির পরিমাণ কম হওয়ায় শিল্পনগরীর উন্নয়ন খরচ প্রতি বর্গফুটে পড়েছে ৫৯২ টাকা।
এদিকে জমির মূল্য কম দেয়া হয়েছে, অভিযোগ করে আদালতে দুটি মামলা করেছেন জমির মালিকরা। তারা বলেছেন, সরকারি নিয়ম অনুয়ায়ী জমির দাম নির্ধারিত হয়নি। তাই মূল্যবৃদ্ধির দাবিতে মামলা করেছি। জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে জমির মালিকরা টাকা তোলেননি। সরকারি নিয়ম অনুয়ায়ী টাকা দিলেই মামলা তুলে নেব।
ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, বিসিকের জমির দর অন্য বিসিক ও পাশের জমির তুলনায় অনেক বেশি। অন্য বিসিকের চেয়ে যদি দাম কম হয় তবে ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসবে। দাম বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের পক্ষে প্লট নেয়া সম্ভব নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।