স্পোর্টস ডেস্ক : খেলা শুরুর কথা ছিল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। তার আগে দুপুর গড়াতেই ভিড় জমতে থাকে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে। প্রিয় দলের ফাইনাল খেলা দেখতে গায়ের মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দাম দিয়ে কালোবাজারির মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করতে কার্পণ্য করেননি কেউ। স্টেডিয়ামে ঢোকার জন্য গেট খুলে দিতে শেরে বাংলার গ্যালারিতে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
কিন্তু হায়! যেজন্য হলো এত আয়োজন, সেই মাঠের খেলা যে থমকে গেল বেরসিক বৃষ্টিতে। আবহাওয়ার পূর্ভাবাস অনুযায়ী দেরিতে হলেও খেলা হওয়ার আশা ঠিকই ছিল। কিন্তু ঝিরঝির বৃষ্টি সারাক্ষণই চলতে থাকায়, একপ্রকার বাধ্য হয়েই ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন দুই আম্পায়ার। ফলে টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ীই যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় আফগানিস্তান ও বাংলাদেশকে।
শিরোপা ভাগাভাগির পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে প্রায়ই একই কথা বলে যান দুই দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং রশিদ খান। দুজনেরই চোখে-মুখে সমবেদনা প্রকাশ পেলো দর্শকদের জন্য এবং হতাশার অভিব্যক্তি দেখা গেলো ম্যাচটি মাঠে না গড়ানোয়। দুই অধিনায়কের অভিন্ন মত, এভাবে ট্রফি ভাগাভাগি না করে, ম্যাচ খেলে ফল এলেই তা বেশি ভালো হতো।
তাই তো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে টাইগার অধিনায়ক সাকিব বলেন, ‘দর্শকদের জন্য তো অবশ্যই হতাশার। তারা অনেক আশা নিয়ে এসেছিল যে দারুণ একটি ক্রিকেট ম্যাচ দেখবে। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত…বৃষ্টি আমাদের হাতে নেই। এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। ফাইনালে আসার পথে আমরা বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছি। আমার মনে হয় ফাইনাল খেলতে না পারা, দুই দলের জন্যই এটা হতাশাপূর্ণ ছিল’
সাকিবের আগে কথা বলতে উপস্থিত হয়ে রশিদ শুনিয়ে যান, ‘আজকে দর্শক সমাগম অসাধারণ ছিল। ম্যাচটা মাঠে গড়ানোর পর কোনো রেজাল্ট পেলেই আমরা বরং খুশি হতাম। তবে বৃষ্টি বা আবহাওয়ার ব্যাপারে আমাদের কিছুই করার নেই। ছেলেরা দারুণ খেলছিল। তাই ফাইনাল ম্যাচের রেজাল্ট না আসাটা খুবই দূর্ভাগ্যজনক ছিল।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।