জুমবাংলা ডেস্ক: ক্রিকেটার নাসির হোসেনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে তামিমা সুলতানা তামি বলেছেন, ‘১০/১২ টা প্রেম করে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে নোংরামি করে ছেড়ে দেয়া কে ভদ্রতা বলে? তাহলে বলবো নাসির সেই ক্ষেত্রে অনেক অভদ্র। আর আমি এই অভদ্র ছেলেটাকে অনেক ভালোবাসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভদ্র মানুষের ভিড়ে এই অভদ্র ছেলেটার (নাসিরের) ভালো গুণগুলো ঢাকা পড়ে যায় সব সময়। কারণ ও ৮/১০ জনের মতো দেখিয়ে দেখিয়ে ভালো কাজ গুলো করে না। লোক দেখানো ভালো কাজ ও পারে না তাই সবার মতো ভালো মানুষ ও হতে পারে না।’
ফেসবুকে লেখা এক দীর্ঘ পোস্টে তামিমা বলেন, ‘️নাসির চাইলে পারতো আমার থেকে ভালো, সুন্দরী, একটা অবিবাহিত মেয়েকে বিয়ে করতে কিন্তু সেটা সে না করে আমার মতো ডিভোর্সপ্রাপ্ত মেয়েকে একটা মেয়েসহ বিয়ে করে যোগ্য সম্মান দিয়েছে। এতে তো আমাদের সমাজ অভ্যস্ত না। তাই নাসিরের এই ভালো মহৎ কাজটা কারো চোখে পড়ে নাই। যতসব অন্ধ সমাজ!
তিনি বলেন, ‘মুসলিম হিসেবে এটা তো সবাই জানেন যে একজন তালাকপ্রাপ্ত নারীকে বিয়ে করা হচ্ছে নবীজির সুন্নত পালন করা। কিন্তু আমাদের ভদ্র সমাজের মানুষের কাছে হচ্ছে সেকেন্ডহ্যান্ড মাল বিয়ে করেছে ইত্যাদি…‼️ আমাদের দেশে তালাকপ্রাপ্ত নারী, বিধবা নারী, অথবা বিবাহিত নারীদের কোন চোখে দেখা হয় বোঝাই যাচ্ছে। এটার সহজ মানে হচ্ছে প্রেম করো, লিভিং এ থাকো কিন্তু বিয়ে কোরো না। আমরাও যদি এমন করতাম তাহলে এত কিছু হতো না।’
তামিমা বলেন, ‘মরে গিয়ে চরিত্রবান দেখানোর থেকে বিয়ে করে সুখী হয়ে মানুষের কাছে দুশ্চরিত্রবান থাকাই ভালো। কারণ এই মানুষগুলো আমার কষ্টের সময় ছিলো না। তাদের কাছে ভালো হয়ে আমার লাভ কি? তারা আমাকে খাওয়ায় না পড়ায়ও না⁉️’
তালাক প্রসঙ্গে তামিমা বলেন, ‘এবার আসি তালাকের কথায়। জনগণের পছন্দের টপিক্স। কোন বোকার রাজ্যে বসবাস করেন আপনারা?
আমি একজন শিক্ষিত চাকরিজীবী নারী, আল্লাহ ছাড়া ভয়ও পাইনা কাউকে, ডিভোর্স দিতে কি লাগেরে ভাই! কত টাকাই বা লাগে যেটা আমি দিতে পারবো না ! বা যাকে ডিভোর্স দিয়েছিলাম সেই বা কি করবে আমার যেটা ভেবে আমি ডিভোর্স না দিয়ে বিয়ে করবো? এতটা বোকা আমি নই।’
তিনি বলেন, ‘AD Receipt পেয়েও যদি কেউ অস্বীকার করে তাহলে আমার সেখানে কিছু করার নাই, সেই জন্য তো আদালত আছেই!
জনগণের উদ্দেশ্যে শুধু এতোটুকু বলবো মানুষের লাইফ নিয়ে পরে না থেকে নিজের লাইফ এর দিকে ফোকাস দিন, এতে করে কমেন্ট বক্সে নয় হয়তোবা আপনিও শিরোনামে থাকবেন কোনো একদিন!’
তামিমা বলেন, ‘ফেসবুকে অন্যের জীবন নিয়ে পরে না থেকে নিজের বাবা মা, ভাই বোন, বউ বাচ্চার দিকে খেয়াল রাখুন, তাহলে হয়তোবা কোনো বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে হবে না, কোনো বউ তার স্বামী কে ডিভোর্স দিবে না, কোনো মেয়ে সিঙ্গেল মাদার হবে না। অন্যের দিকে আঙুল তোলার আগে ভাবেন আপনি কেমন! নিজের মানসিকতার পরিবর্তন করুন, আগে নিজে ভালো হন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অভদ্র, খারাপ whatever , ইত্যাদি••••• কেন ভালো থাকার জন্য কি কেউ মেডেল দিয়ে গেছিলেন, আমরা যেমন আছি ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। আর সারা জীবন এমনই থাকবো ইনশাল্লাহ! আমি বা নাসির আমরা দুজনে কেমন সেই সার্টিফিকেট জনগণের কাছে থেকে নিতে হবে না। আমাদের পরিবার জানে যে আমরা কেমন।’
তামিমা বলেন, ‘মিথ্যা রটিয়ে আমাদের খারাপ তো কিছু হচ্ছে না উল্টো আমাদের লাভ ই হচ্ছে। আমরা কিছু না করেও আপনার নেকি লিখে নিচ্ছি আর আপনি আমাদের গুনাহ লিখে নিচ্ছেন। আপনাদের উপরে আল্লাহর লানত বর্ষণ হচ্ছে আর আমাদের উপরে আল্লাহর রহমত… সেই জন্য ধন্যবাদ সবাইকে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।